বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যু কমে ৭

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:১৬

গত একদিনে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৪৩৫ জনের শরীরে। এই নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জনে।

দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। গত নয় মাসে একদিনে এত কম মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ। এই নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ১৮২ জনে।

এর আগে গত বছরে ৬ মে এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়েছিল। ওই দিন করোনায় মাত্র তিন জনের মৃত্যু দেখেছিল বাংলাদেশ।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত একদিনে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৪৩৫ জনের শরীরে। এই নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জনে।

এতে বলা হয়, গত এক দিনে ১৫ হাজার ৫৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৪৩৫ জনের শরীরে। এ নিয়ে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৭ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮২ হাজার ৭০৫ জন। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ; সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। টানা ১৮ দিন ধরে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তর হার হচ্ছে পাঁচ শতাংশের নিচে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ পাঁচ শতাংশের নিচে হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে বলা যায়।

অবশ্য নীতিমালায় এও বলা আছে যে, দিনে পরীক্ষা হতে হবে ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু গত ১৮ দিনে এক বারও ২০ হাজার পরীক্ষা করা হয়নি। একদিন ছাড়া প্রতিদিনই পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজারের নিচে।

এই কম নমুনা পরীক্ষার পেছনে অবশ্য সরকারের কোনো দায় নেই। শুরুর দিকে কিটসহ অবকাঠামোগত সমস্যায় পরীক্ষা করতে বাধা পেলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। দেশের ২০৬টি ল্যাবে এখন পরীক্ষা করা যায়, সেই সঙ্গে শুরুর হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টও। জনগণই পরীক্ষা করতে কম যাচ্ছে।

এবারের শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ছিল সরকার। ইউরোপে শীতে দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতি হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দেয় সরকার।

বিশেষ করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। মাস্ক ছাড়া সেবা মিলবে না- এমন নীতি ঘোষণা করার পরও কাজ না হওয়ায় নামানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অসংখ্য মানুষকে করা হয় জরিমানা।

তবে শীত বাড়ার পর সংক্রমণ না বেড়ে উল্টো কমতে থাকে।

সংক্রমণের হার ক্রমন্বয়ে নিম্নমুখী অবস্থানে। কমছে মৃত্যুও। তিন মাস আগে যেখানে দিনে ৩০ জনের বেশি মারা যেত, সেই সংখ্যাটি এখন কখনো দশের নিচে, কখনো ওপরে।

গত এক দিনে মৃত সাত জনের মধ্যে পুরুষ চার ও নারী তিন জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব এক, চল্লিশোর্ধ্ব এক, পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ও ষাটোর্ধ্ব চার জন।

বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ছয়, রাজশাহী এক, এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন সংক্রমণের ১১ মাস চলছে। জনস হপকিন্স ইউনির্ভাসিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম আর মৃতের দিক থেকে ৩৮তম।

এ বিভাগের আরো খবর