বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গভ্যাক্স সবচেয়ে নিরাপদ, দাবি উদ্ভাবক দম্পতির

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১৪

‘মডার্নার মতো গ্লোব বায়োটেকের এই টিকায় এমআরআই টেকনোলজি মেনে কাজ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের একটু পার্থক্য আছে। মডার্নার এএমআরআইয়ের ন্যাচারাল কেমিক্যাল (রাসায়নিক) কম্পাউন্ড ব্যবহার না করে আমরা মডিফাইড কম্পাউন্ড ব্যবহার করেছি।’

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন বা সম্ভাব্য টিকা বঙ্গভ্যাক্সকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে দাবি করেছেন উদ্ভাবক দম্পতি কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানা।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করার সময় সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন তারা।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে এই টিকা মুজিববর্ষের মধ্যেই জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আশাবাদী উদ্ভাবক দম্পতি।

দেশি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ‘বঙ্গভ্যাক্স’ নিয়ে কাজ করছে। এরই মধ্যে বিশ্বে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া করোনা টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হলেও বঙ্গভ্যাক্সের একটি ডোজই যথেষ্ট বলে দাবি করা হচ্ছে।

করোনার নতুন ধরনেও টিকাটি বেশ কার্যকর হবে বলে দাবি করেন উদ্ভাবকদের একজন নাজনীন সুলতানা।

কাকন জানান, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার আগে বিএমআরসির এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দরকার। এ জন্য তিন সপ্তাহ আগে আবেদন করা হলেও এখনো কোনো উত্তর আসেনি।

অন্যদিকে নাজনীনের দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর ৪০ দিন পর এই টিকা বাজারজাত করা সম্ভব।

সবচেয়ে নিরাপদ দাবি করার কারণ জানতে চাইলে কাকন নাগ বলেন, ‘সেইফেস্ট (সবচেয়ে নিরাপদ) বলেছি এর সায়েন্টিফিক (বৈজ্ঞানিক) ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর ভিত্তি করে।

‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থেকে ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিটর, যারা ভ্যাকসিন ডেভেলপ করেছেন, সেখান থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মর্ডানা ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মডার্নার মতো গ্লোব বায়োটেকের এই টিকায় এমআরআই টেকনোলজি মেনে কাজ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের একটু পার্থক্য আছে। মডার্নার এএমআরআইয়ের ন্যাচারাল কেমিক্যাল (রাসায়নিক) কম্পাউন্ড ব্যবহার না করে আমরা মডিফাইড কম্পাউন্ড ব্যবহার করেছি।

‘মানব কোষ ও অ্যানিমেল (প্রাণী) মডেলে বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্ট (পরীক্ষা) করেছি ইন্টারন্যাশনাল প্রটোকল অনুযায়ী। এতে দেখা গেছে, এর রেসপন্স (প্রতিক্রিয়া) খুবই সহনশীল।’

টিকার প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে কাকন বলেন, ‘মানব শরীরের টিএইচ১ ও টিএইচ২ নামে দুটি ভেসেল (শিরা) থাকে। এই ভেসেল অ্যান্টিবডি রেসপন্স তৈরি করে। টিএইচ১ থেকে টিএইচ২-এর রেসপন্স বেশি হলে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন দেখা দেয়।

‘অন্য টিকাগুলোর ক্ষেত্রে ব্যালেন্সের মাত্রা ১-এর কম। এর অর্থ হলো টিএইচ১-এর রেসপন্স কম, টিএইচ২-এর বেশি। আমাদের ক্ষেত্রে এটা ১ এসেছে। এই তথ্যই প্রমাণ করে এই টিকার অ্যালার্জিটিক রিঅ্যাকশন কম।’

এ বিভাগের আরো খবর