করোনা সংক্রমণ রোধে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ টিকাদান কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ কর্মস্থল ত্যাগ বা ছুটি নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারা দেশের জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মেডিক্যাল কলেজের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
খুরশীদ আলম জানান, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাদান কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত আছেন। এরইমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিন ছাড়া টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
এ সময় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ঢাকা জেলার জন্য প্রথম ধাপে চার লাখ টিকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে মডার্না, ফাইজার, স্পুটনিক, সিনোভ্যাক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রয়োগ করছে অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা, যেটি উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে।
প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পাঠানো ৫০ লাখ টিকা দেশে আসে। এর আগে ভারত সরকারের দেয়া ২০ লাখ টিকা আসে উপহার হিসেবে। এরইমধ্যে দেশের ৬১টি জেলায় করোনা টিকা পৌঁছে গেছে।
সিরাম থেকে সরকার মোট তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কিনেছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে। আর বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স দেবে পৌনে সাত কোটি ডোজ, যা আসবে জুন নাগাদ।
প্রথম ধাপে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টিকা দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছে সরকার।
টিকা পেতে আগ্রহীদের নিবন্ধনের জন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে সুরক্ষা নামের অ্যাপ। অবশ্য যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।