করোনাভাইরাস পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানের ক্ষতি ও তাদের প্রজনন ক্ষমতা কমাতে পারে।
নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রিপ্রোডাকশন নামের জার্নালে শুক্রবার গবেষকরা জানান, করোনা শুক্রাণুর কোষ ধ্বংস, প্রদাহ ও তথাকথিত অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে করা ওই গবেষণার উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু ও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এমন প্রমাণ দেয় প্রাপ্ত তথ্যগুলো।’
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, এ গবেষণার পরও করোনাভাইরাস পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাকে কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তা নিশ্চিত হয় না।
এর আগের করা গবেষণায়ও দেখা যায়, করোনাভাইরাস পুরুষের প্রজনন অঙ্গগুলোকে সংক্রমিত, শুক্রাণু কোষের বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রজনন হরমোনগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত করে।
তবে পুরুষদের পুনরুত্পাদন ক্ষমতাকে ভাইরাসটি কতটুকু প্রভাবিত করে তা অস্পষ্টই থেকে যায়।
জার্মানির জাস্টাস লাইবিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহজাদ হাজিজাদেহ মালেকি ও বখতিয়ার তারতিবিয়ান গবেষণাটি করেছেন।
করোনা আক্রান্ত ৮৪ জন পুরুষকে ৬০ দিন পর্যবেক্ষণ করেন তারা। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য ১০৫ জন সুস্থ পুরুষের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
গবেষণায় করোনা রোগীদের শুক্রাণুর কোষগুলোতে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে আসে।এটি ডিএনএ ও শরীরের প্রোটিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
মালেকি বলেন, ‘শুক্রাণু কোষের ওপর এই প্রভাবগুলো শুক্রাণুর গুণগত মান এবং প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রভাবগুলোর ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।’
পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থাকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ পথ হিসেবে বিবেচনা করা এবং একে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মালেকি।
বিশেষজ্ঞরা গবেষণাটিকে স্বাগত জানালেও তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, নিষ্পত্তিমূলক ও দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।