এক দিন এগিয়ে সারা দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ৭ ফেব্রুয়ারি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদানের মহড়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকাদান শুরুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান।
ফেব্রুয়ারির প্র্রথম সপ্তাহে দেশব্যাপী টিকা দেয়া শুরু হলেও টিকাদান কর্মসূচির শুরু হচ্ছে বুধবার। বিকেল সাড়ে তিনটায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় টিকা দেয়া হবে পাঁচ জনকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এদিন টিকা দেয়া হবে মোট ২৫ জনকে। স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে তাদের বাছাই করা হবে। আর আগামী সাত ফেব্রুয়ারি একযোগে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টিকাদান কর্মসূচির প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার ১০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। ডাক্তার ২০ জন, নার্স ২০ জন, তৃতীয় ও চতুর্থ শেণীর সদস্য ও আনসার সদস্যসহ মোট ১০০ জনকে এ টিকা দেয়া হবে।
বিশ্বের অনেক দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান শুরু হয়েছে আগে থেকেই। বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রতি।
কোভিশিল্ড নামে এই টিকা ভারত ও বাংলাদেশে বিক্রি করছে সিরাম। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালানটি দেশে পৌঁছায় সোমবার। এর আগে উপহার হিসেবে ঢাকাকে আরও ২০ লাখ ডোজ। বাকিগুলোও আসবে ধাপে ধাপে।
এর আগে নিয়মানুযায়ী টিকাগুলো পরীক্ষা করে দেখেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানালেন, কোভিশিল্ডের ৫০ লাখ ডোজ করোনা টিকা ল্যাব পরীরায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এই টিকা মানবদেহে ব্যবহারের উপযুক্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) এ টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান।’