করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পেতে অনলাইনে প্ল্যাটফর্ম ‘সুরক্ষা নামক’ অ্যাপ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার এক অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করবে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, সোমবার অ্যাপ হস্তান্তরের কথা আছে। পরের দিন নিবন্ধনের জন্য অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হবে। টিকাদান কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ২৭ জানুয়ারি। এদিন স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশ থেকে বাছাই করে ২৫ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হবে।
অ্যাপ হস্তান্তরের দিনই তাদেরকে নিবন্ধিত করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিবন্ধন নিয়ে রোববার বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বৈঠক রয়েছে, এতে মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।
সুরক্ষা অ্যাপে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, নাম, জন্মতারিখের পাশাপাশি কোনো শারীরিক জটিলতা আছে কি না, পেশা কী- তাও জানাতে হবে। স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যাপে তথ্য দিলে টিকার আপডেট সম্পর্কে গ্রহীতাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ টিকা বিতরণ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। কারা আগে টিকা পাবেন, সেই অগ্রাধিকারের তালিকাটি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের কারণে সব তথ্য সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। কারা কোন সময়ে টিকা পাবেন তাও অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘একেকজনকে টিকা দেয়া হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ কবে দেয়া হবে সেটা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।’
খুরশীদ আলম জানান, দেশে করোনার টিকা ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি আর পরিকল্পনা চলছে সমানতালে। একই সঙ্গে পাইলট রানের আওতায় যাদের টিকা দেয়া হবে তাদের তালিকা তৈরির কাজও চলছে।
উদ্বোধনী দিনে কারা টিকা নেবেন সেই তালিকাও চূড়ান্ত করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল পাওয়ায় আগামী বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে হবে দেশে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী আয়োজন। ওই দিন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ২৫ জনকে টিকা দেয়া হবে।
‘পরদিন থেকেই ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে শুরু হবে। সেখানে ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে পর্যবেক্ষণের আওতায় টিকা দেয়া হবে। পরে এক সপ্তাহ চলবে তাদের পর্যবেক্ষণ। ফল দেখে ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে টিকাদানের মূল কার্যক্রম।’
শুরুতে টিকা পাবে ঢাকা বিভাগের মানুষ। এ ক্ষেত্রে আগামীকাল আরও ৫০ লাখ ডোজ টিজা ভারতের সিরাম থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে দেশে আসার কথা রেয়েছে। ঢাকায় পৌঁছার পর যেকোনো সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো শুরু হবে।