করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান।
শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব বলেন, ‘প্রথম দিনে টিকা প্রাপ্তদের তালিকায় করোনাভাইরাসের সময় কাজ করা সম্মুখযোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
সারাদেশে টিকাদান ফেব্রুয়ারির শুরুতে হলেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে আগামী বুধবার।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার মধ্যদিয়ে দেশে শুরু হবে করোনা টিকা প্রদানের কার্যক্রম।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে টিকাদান কর্মসুচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আমরা ২০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এরই মধ্যে পেয়েছি। ২৫ জানুয়ারি পাব চুক্তি অনুযায়ী ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।’
চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে আনা হবে এই টিকা। রোববার বা সোমবার দেশে পৌঁছানোর কথা কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান। ধাপে ধাপে আসবে বাকি ডোজও।
বিশ্বের অনেক দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছেন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা। কিন্তু ভারতের মতো বাংলাদেশেও তা হচ্ছে না। সরকার মনে করছে, করোনা মোকাবিলায় যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, টিকা প্রদানে তাদেরই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।
তবে টিকা পেয়েই গণ প্রয়োগে যেতে চাচ্ছে না সরকার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে অবলম্বন করা হচ্ছে সাবধানতা।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, প্রথমে যে টিকা দেয়া হবে, তা হবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। ঢাকা মেডিক্যাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেয়া হবে।
একেবারে শুরুতে বুধবার টিকা দেয়া হবে ২০ থেকে ২৫ জনকে। তাদের বাছাই করা হবে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে।