বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম টিকা পাচ্ছেন একজন নার্স, প্রয়োগ ২৭ জানুয়ারি

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:৫৬

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের শুরু হবে।

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে ২৭ জানুয়ারি থেকে।

এদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের শুরু হবে।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে টিকাদান কর্মসুচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার রাজধানীর কিডনি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আমরা ২০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এরই মধ্যে পেয়েছি। ২৫ জানুয়ারি পাব চুক্তি অনুযায়ী ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।’

চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে আনা হবে এই টিকা। সোমবার দেশে পৌঁছানোর কথা কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান। ধাপে ধাপে আসবে বাকি ডোজও।

তবে টিকা পেয়েই গণ প্রয়োগে যেতে চাচ্ছে না সরকার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে অবলম্বন করা হচ্ছে সাবধানতা।

স্বাস্থ্য সচিব জানান, প্রথমে যে টিকা দেয়া হবে, তা হবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। ঢাকা মেডিক্যাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেয়া হবে।

একেবারে শুরুতে টিকা দেয়া হবে ২০ থেকে ২৫ জনকে। তাদের বাছাই করা হবে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে।

জাতীয় পর্যায়ে টিকার প্রয়োগ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে জানিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, ‘টিকার ৭০ লাখ ডোজ সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয়ভাবে প্রয়োগ শুরু হবে। প্রথম মাসে দেয়া হবে ৬০ লাখ ডোজ। দ্বিতীয় মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ ডোজ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। প্রথম মাসে যারা পাবে তৃতীয় মাসে তারা দ্বিতীয় ডোজ পাবে।’

বিশ্বের অনেক দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছেন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা। কিন্তু ভারতের মতো বাংলাদেশেও তা হচ্ছে না। সরকার মনে করছে, করোনা মোকাবিলায় যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, টিকা প্রদানে তাদেরই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

টিকা নেয়ার পর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কি না তা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান আব্দুল মান্নান। বলেছেন, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হবে।

করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখানোয় বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ প্রশংসা পাচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘করোনা মোকাবিলার স্বীকৃতি দেশে যতটুকু পেয়েছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর