ভারত থেকে করোনা টিকার ৭০ লাখ ডোজ বৃহস্পতিবার দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক সেমিনার শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, টিকা আসছে ৩৫ লাখ ডোজ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মন্ত্রীর বক্তব্যের সংশোধন পাঠায়। এতে বলা হয়, উপহারের ২০ লাখ ডোজের পাশাপাশি সিরামের সঙ্গে বেক্সিমকোর করা চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে আরও ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে।
ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বুধবার এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
করোনার টিকা দেশে আসার পরই তা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। পর্যাপ্ত টিকা পাওয়ার বিষয়ে আমরা এখন যথেষ্ট নিশ্চিত।’
রাশিয়া ও চীনসহ আরও কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে সরকারিভাবে জানানো হয়, আপাতত টিকাদান কেন্দ্র হবে কেবল হাসপাতালে। এর সবই সরকারি পর্যায়ের চিকিৎসালয়। বেসরকারি পর্যায়ে এখনই টিকা দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যেমন, জ্বর, সর্দি গলা ব্যথা হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে কেয়ার এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সর্বত নির্দেশনা দেয়া হবে।’
হাসপাতালের বাইরে আপাতত কোনো টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে না বলে জানান সচিব। বলেন, ‘কারণ এটা নতুন ভ্যাকসিন। বাইরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা হাসপাতাল সুবিধা দিতে পারব না।’
চিকিৎসক টিকা গ্রহীতাদের সার্বক্ষণিক দেখভাল করবেন বলেও জানান সচিব। টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকে টেলিমেডিসিন আওতায় নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
টিকা নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রদানকেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
‘ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হলে করোনা বুলেটিনের মত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
প্রথমে বলা হয়েছিল, টিকা প্রয়োগ হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে। তবে তা এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত হচ্ছে, জানুয়ারির শেষেই দেয়া হবে টিকা।
প্রথমে ২০ জনকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। এরা স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মী।