করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা হাতে পেলে কালক্ষেপণ না করে চলতি মাসেই প্রয়োগ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মঙ্গলবার টিকা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে ঢাকা থেকে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে শুরু হবে। আগামীকাল বা পরশু টিকা পেলে হয়তো ফেব্রুয়ারির আগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে পারে।’
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ। ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালানটি দেশে পৌঁছানোর কথা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে।
এর বাইরেও ঢাকাকে উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ডের টিকা দিচ্ছে ভারত সরকার। উপহারের টিকা বুধ বা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই দেশে পৌঁছাতে পারে বলে জানালেন জাহিদ মালেক।
‘আগামীকাল অথবা পরশুদিন আসবে ভারতের পাঠানো উপহারের টিকা। আগের শিডিউল অনুযায়ী সিরামের থেকে কেনা টিকা আসবে। তবে ফ্লাইট শিডিউল হাতে পেলে জানা যাবে, কবে কোন সময় আসবে। ন্যাশনাল প্লান করা আছে, ভ্যাকসিন আগে আসলে আগে শুরু করব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মঙ্গলবার টিকা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শুরুর দিকে ইউনিয়ন পর্যায় ছাড়া জেলা উপজেলা পর্যায়ে পার ডে দুই লাখ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিক টিম কাজ করবে।
‘ন্যাশনাল প্লান অনুযায়ী টিকা প্রয়োগ হবে। ২০ লাখ আর পরের ৫০ লাখের টিকা মজুতের প্রস্তুতি আছে। প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া আছে। টিকা প্রয়োগের জন্য ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।’
টিকা সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মো. খোরশীদ আলম জানান, টিকা বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসা হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে উপহার হিসেবে যে ভ্যাকসিন আগামীকাল বা পরশু পাচ্ছি, সেটা সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসবে। পরবর্তীতে সিরাম থেকে আরও ৫০ লাখ ডোজ যে ভ্যাকসিন পাব, এক সঙ্গে সমন্বয় করে একবারে সারা দেশে একযোগে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে।’
এর আগে গত সোমবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টিকার নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিতকরণে ১৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া ১৪ সদস্যের ক্যাজুয়ালটি অ্যাসেসমেন্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।