বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসরকারি পর্যায়েও আসছে করোনা টিকা

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:২১

নীতিমালা তৈরি করছে সরকার। দামও বেঁধে দেয়া হবে। বেক্সিমকোসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে।

সরকারিভাবে বিনামূল্য করোনার টিকা দেয়া হলেও বেসরকারি পর্যায়ে টাকা দিয়ে নিতে হবে এই টিকা। এসব টিকার দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার। বেসরকারি পর্যায়ে টিকার আনার অনুমতি দিলেও এই ব্যবস্থাপনার ওপর কঠোর মনিটরিং থাকবে সরকারের।

নকল টিকা আমদানি প্রতিরোধ ও এই টিকার দাম যাতে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য নীতিমালা তৈরি করছে সরকার। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই নীতিমালা চূড়ান্ত হবে বলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সরকার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে করোনা টিকা আনতে আগ্রহী দেশের বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে কিছু অভিজাত ক্লাব, চীন, রাশিয়ার দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠিত এনজিও ব্র্যাক টিকা আনতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে।

বাজারে বেসরকারি পর্যায়ে অক্সফোর্ডের টিকা ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকা’ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আগামী মাসের প্রথম দিকে এই টিকা বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা। বেসরকারি পর্যায়ে বেক্সিমকোর এ টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার ১২৫ টাকার (১৩.২৭ ডলার) মতো।

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারি চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো ভাতরের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা চার ডলার মূল্যে কিনেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে নির্ধারিত সেই মূল্যে মোট ৩ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে সিরাম, যা সরকারের কাছে বিক্রি করবে বেক্সিমকো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৬ কোটি মানুষের করোনা টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আনার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। তবে একইসঙ্গে এর সুষ্ঠু মনিটরিংও প্রয়োজন। যথাযথভাবে নীতিমাল এখনই গড়ে না তুললে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।

এরই মধ্যে নকল টিকা বাজারে আসতে পারে এমন আভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। ১৯৪টি সদস্যদেশের পুলিশ বাহিনীকে এ বিষয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট দেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, করোনার নকল টিকা বাজারে বিক্রি হতে পারে অথবা আসল টিকা চুরি হয়ে যেতে পারে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র নকল টিকা বাজারে ও অনলাইন মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।

দেশে যে কোনো টিকা বা ওষুধ আনার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাউদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাশিয়া ও চীনের দূতাবাস এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আবেদনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যামে আমাদের কাছে এসেছে। মন্ত্রণালয় বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আনা নিয়ে একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বলেছে, এই নীতিমালা তৈরির কাজ এ মাসের মধ্যে শেষ হবে।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক্ষেত্রে কোনো বাধা বা নির্দেশনা নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে টিকা আনতে পারবে, এমনকি তাদের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা থাকলে যে কোনো দেশের উৎপাদিত টিকা নিয়ে আসতে পারবে। যারা টিকা আনতে চায় তাদের অবশ্যই আমাদের কাছে আবেদন করতে হবে। আমাদের অবশ্যই কিছু শর্ত থাকবে। কোন দেশ থেকে কোন কোম্পানির টিকা আনা হচ্ছে, সেই টিকার ফলাফল কী, তার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, যে প্রতিষ্ঠান আনতে চায়, তাদের সক্ষমতা রয়েছে কি না, যাদের দেয়া হবে তার ফলোআপ করা হবে কীভাবে, এমনকি এই টিকার মূল্য কত হবে- এ তথ্যগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খোরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠাগুলোকে যদি ভ্যাকসিন আমদানি করতে দেয়া হয়, সরকারের যে সমস্ত নিয়মকানুন আছে, সেগুলো মেনেই তাদের টিকা আনতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পেতে আবেদন করতে হবে। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দুই-একদিনের মধ্যে এই নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। এ মাসের মধ্যে এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে এর দাম নির্ধারণ করা হবে। টিকা আমদানির বিষয় নিয়ে গতকাল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসেছে সরকার।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নীতিমালায় দামের বিষয়টি চূড়ান্ত করা দেয়া হবে। সব টিকার দাম এক হবে না। যেভাবে আমরা বেসরকারি পর্যায়ে করোনা টেস্টের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি, সেভাবে টিকার দামও নির্ধারণ করে দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর