বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইজার টিকা পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৩৭

করোনা প্রতিরোধী টিকাগুলোর মধ্যে সবার আগে প্রয়োগ পর্যায়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বায়ো-এনটেক উদ্ভাবিত এই টিকা। ফাইজারের টিকা প্রয়োগ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, কুয়েত, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশে।

উন্নত বিশ্বে অনুমোদন পাওয়া ফাইজার টিকা প্রয়োগের মতো অবকাঠামো না থাকায় শুরুর দিকে এই টিকা কেনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না সরকারের। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্যাভির কোভ্যাক্স উদ্যোগের সহায়তায় ফাইজার টিকা পাওয়ার প্রস্তাবের পর নতুন করে ভাবছে সরকার।

এই টিকা সংগ্রহ ও বিরতণে প্রস্তুতি নির্ধারণে সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে এর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ফাইজার টিকা নিতে বাংলাদেশ ইচ্ছুক কি না এটা জানতে চেয়ে গত ৬ জানুয়ারি সরকারকে চিঠি দেয় কোভ্যাক্স। এই চিঠির জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

এমনকি ১৮ জানুয়ারির আগেই এই চিঠির জবাব দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি কোভ্যাক্স আমাদেরকে ফাইজারের টিকা বিষয়ে চিঠি পাঠায়। ১৮ জানুয়ারি নাগাদ এর উত্তর দেয়া হতে পারে।’

করোনা প্রতিরোধী টিকাগুলোর মধ্যে সবার আগে প্রয়োগ পর্যায়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বায়ো-এনটেক উদ্ভাবিত এই টিকা। ফাইজারের টিকা প্রয়োগ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, কুয়েত, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশে।

তবে এই টিকা সংরক্ষণ বেশ চ্যালেঞ্জিং। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

বাংলাদেশের এমন সক্ষমতা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল বাশার জানান, বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি’তে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় টিকা রাখা যায় এমন রেফ্রিজারেটর আছে। এ ছাড়া এই টিকা ধাপে ধাপে দেশে আসবে।

‘আশা করছি এই টিকা সংরক্ষণে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। সেই সঙ্গে এই টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশকে মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের জন্য এই টিকা দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ এবং বিতরণের কাজ বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হলেও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা প্রাপ্তির সুযোগ বাংলাদেশ হাতছাড়া করবে না বলে জানান আইইডিসিআরবি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

সরকার থেকে আগেই জানানো হয়েছে, দেশে ১৮ বছরে নিচে কোনো ব্যক্তিকে করোনার টিকা দেয়া হবে না।

এ ছাড়া ১ কোটি লোক দেশের বাহিরে অবস্থান করছে, গর্ভবর্তী ও নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে এসব মিলিয়ে সাড়ে ৫ কোটি মানুষের টিকা দেয়া হবে না।

আগামী জুনের মধ্যে নয় কোটি টিকা আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে চুক্তি হয়েছে। এই টিকার জন্য এর মধ্যে সিরাম ইনস্টিউটটকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে গ্যাভি বাংলাদেশকে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর