বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা এলেও প্রয়োগে যেতে পারে দুই মাস

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৫৬

দুই মাসের মধ্যে জনবল নিয়োগ, কারিগরি সহায়তা, কাগজপত্র প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কাজ শেষ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।

করোনাভাইরাস নিরাময়ে সঠিক সময়ে টিকা এলেও বিতরণ, সংরক্ষণ ও পরিবহনে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ নীতিমালায় এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এই দুই মাসের মধ্যে জনবল নিয়োগ, কারিগরি সহায়তা, কাগজপত্র প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কাজ শেষ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।

১৩৭ পৃষ্ঠার নীতিমালাটি তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার এ নীতিমালা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ওই কর্মকর্তাকে।

কাজ শেষ হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে একটি বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে। এরপর এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। তবে কবে নাগাদ কাজটি শেষ হবে তা জানা যায়নি। চেষ্টা চলছে দ্রুত শেষ করার।

নীতিমালায় দেশে টিকা আসার পরও সার্বিক কাজ শেষ করতে আরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিউজবাংলাকে বলেন, এই নীতিমালা প্রথামিকভাবে তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করবে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা প্রয়োগের আগে একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এই মহড়ার জন্যও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্ততি নিচ্ছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের টিকা দিতে আলাদা একটি কমিটি গঠন করা হবে।’

নীতিমালায় বলা হয়, শুরুর ধাপে তিন শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে না। তবে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে এ সংখ্যা। দ্বিতীয় ধাপে সাত শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ১১ থেকে ২০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া যাবে টিকা। পর্যায়ক্রমে ২১ থেকে ৪০ শতাংশ, ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের অনুমতি পাওয়া টিকার ক্ষেত্রে প্রয়োগের আগে দেশে কোনো পরীক্ষা করা হবে না। তবে স্থানীয় পর্যায়ে অবিষ্কৃত টিকা কিংবা ডব্লিউএইচওর অনুমোদন ছাড়া আমদানি করা টিকার ক্ষেত্রে তিন দফায় ল্যাব পরীক্ষা করা হবে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য থাকবে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম।

নীতিমালার বড় একটি অংশে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে টিকার নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের বিষয়টি। কতসংখ্যক কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হবে, সে পরামর্শও দেয়া হয় নীতিমালায়।

১৩৭ পৃষ্ঠার নীতিমালায় টিকা প্রয়োগের বিষয়টি তদারকি করতে আলাদা একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করা হয়। একই সময় উল্লেখ করা হয়, দেশে টিকা আসার আগে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। তবে টিকা আসার পরও এর লোকবল নিয়োগ, কারিগরি সহায়তা, কাগজপত্র প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হবে আট সপ্তাহ সময়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা শুরুতে প্রাথমিক নীতিমালা তৈরি করে জমা দিয়েছিলাম। কিছু সংশোধন ছিল।

‘সেইগুলো ঠিক করে আবার দ্বিতীয় বার নীতিমালা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে মন্ত্রণালয়।’

এরই মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ফলে এই টিকা বাংলাদেশে ব্যবহারের কোনো বাধা নেই। এখন কেবল পাওয়ার অপেক্ষা।

অক্সেফোর্ডের টিকা ভারতীয় উপমহাদেশে উৎপাদন করবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তাদের কাছ থেকে তিন কোটি টিকা কিনবে বাংলাদেশ।

এ জন্য ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় গত ৫ নভেম্বর। ১৩ ডিসেম্বর হয় ক্রয়চুক্তি। চুক্তির পক্ষগুলো হলো বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ও বেক্সিমকো।

চুক্তি অনুমোদন দেয়ার এক মাসের মধ্যে টিকা হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহম্মদ খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘টিকাটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ঔষধ প্রশাসন এ বিষয়ে আলোচনা করে টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এই টিকা নিতে আর জটিলতা রইল না। চুক্তি অনুযায়ী অনুমোদনের এক মাসের মধ্যে টিকা পাবে বাংলাদেশ।’

অনুমোদন দেয়াতে দেশে অক্সফোর্ডের টিকা আনাতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকো এখন এই টিকা আনতে পারবে। তারা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়েছেন।’

বাংলাদেশ এই টিকা কবে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুমোদনের পর এক মাসের মধ্যে টিকা পাওয়ার কথা। এ কারণে সঠিক সময় বলা যাচ্ছে না। তবে ১০ দিনের মধ্যেও চলে আসতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর