বছর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা।
শুক্রবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ। ৩১ ডিসেম্বর এই সংখ্যা দুই কোটি ছাড়ায়।
করোনা শনাক্তে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের অবস্থান ভারতের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জানুয়ারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।
নববর্ষের ছুটি, পর্যটন ও ভ্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে আল জাজিরার প্রতিবেদনে।
৩০ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসে দেশটিতে রেকর্ড ৩ হাজার ৯২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়।
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে মারা গেছেন প্রায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
২০২০ সালে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল দেশটির সরকার। কিন্তু বছরের শেষ দিন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
মহামারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রভাব ফেলেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে পুরনো হাসপাতালগুলোতে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহের কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।