করোনার অতি ছোঁয়াচে নতুন একটি রূপের সঙ্গে গত কিছু দিন ধরেই লড়ছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে সাউথ আফ্রিকা থেকে এসেছে আরেক উদ্বেগের খবর। দেশটিতে পাওয়া গেছে করোনার অত্যন্ত ছোয়াঁচে আরেকটি রূপ।
গত সপ্তাহে সাউথ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, তাদের দেশে জিনগত বিবর্তনের করোনার একটি নতুন রূপ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এটা দায়ী হয়ে থাকতে পারে।
আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশটির করোনার নতুন রূপটি অন্য দেশেও ছড়াতে শুরু করেছে। পৌঁছে গেছে যুক্তরাজ্য পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নতুন করোনা ইংল্যান্ডের ‘আগেই’
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাউথ আফ্রিকার অসাধারণ জেনোমিক সক্ষমতার সুবাদে যুক্তরাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের দুজন রোগী শনাক্ত করতে পেরেছি। আক্রান্ত দুজনই গত কয়েক সপ্তাহ সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ করে এসেছেন।’
আফ্রিকার দেশটির নতুন ধরনের আগেই যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন একটি রূপ শনাক্ত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শনাক্ত হওয়া নতুন রূপটি বিশ্বজুড়ে মহামারি ছড়ানো করোনার বর্তমান রূপ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।আরও পড়ুন: নতুন ধরনের করোনার কারণেই বাড়ছে আক্রান্ত
সাউথ আফ্রিকা থেকে আসা নতুন ধরনটি আরও বেশি ছোঁয়াচে জানিয়ে হ্যানকক বলেন, ‘নতুন ধরনটি খুব উদ্বেগজনক। কারণ এটি আরও বেশি ছোঁয়াচে। যুক্তরাজ্যে নতুন যে ধরনটি পাওয়া গেছে তা থেকে নতুনটি বেশি মিউটেড।’
সাউথ আফ্রিকা থেকে নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হওয়াদের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের সবাইকে অবশ্যই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর তাৎক্ষণিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরন সাউথ আফ্রিকারটি সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সুসান হপকিন্স।
‘যুক্তরাজ্যে আমাদের শনাক্ত করা ধরনটি থেকে সাউথ আফ্রিকারটির পার্থক্য অনেক। সাউথ আফ্রিকারটি ভিন্ন মিউটেশনের।
‘উভয়টি অনেক বেশি সংক্রামক। যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার নিয়ে আমাদের অনেক প্রমাণ রয়েছে। কারণ অ্যাকাডেমিক অংশীদারদের নিয়ে আমরা এ বিষয়ে অনেক গবেষণা করছি। আর দক্ষিণ আফ্রিকারটি নিয়ে আমরা কেবল জানতে শুরু করেছি।’
আফ্রিকার করোনার ধরনটিও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে বিশ্বাস সুসানের। এরই মধ্যে উদ্ভাবিত টিকা এই ধরনটির ক্ষেত্রেও কাজে দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।