বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে নতুন করোনা ইংল্যান্ডের ‘আগেই’

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৩৮

যুক্তরাজ্যের ধরনটির সঙ্গে মিল আছে বাংলাদেশে আগেই এমন মিউটেশনের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানালেন বিসিএসআইআরের জিনোমিক গবেষণাগার ল্যাবের জীবতাত্ত্বিক গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান।

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের সঙ্গে মিল আছে এমন জিনোমের উপস্থিতি বাংলাদেশে নভেম্বরেই পাওয়া গেছে বলে দাবি বাংলাদেশ বিজ্ঞান এবং শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) একজন বিজ্ঞানীর।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়। করোনার যে ধরন মহামারি রূপ পেয়েছে সেটি থেকে নতুনটি ৭০ শতাংশ বেশি ছোঁয়াচে।

এমন খবর পাওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে অনেক দেশ।

আরও পড়ুন: নতুন ধরনের করোনার কারণেই বাড়ছে আক্রান্ত

যুক্তরাজ্যের ধরনটির সঙ্গে মিল আছে বাংলাদেশে আগেই এমন মিউটেশনের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানালেন বিসিএসআইআরের জিনোমিক গবেষণাগার ল্যাবের জীবতাত্ত্বিক গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের মিউটেশন পাওয়া গিয়েছিল। পাঁচটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার সময় নতুন এই মিউটেশন আমাদের নজরে আসে।’

বিষয়টি এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়ে সেলিম খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য জমা দেয়া হয়, সেখানে দেখেছি, রাশিয়া ও পেরুতে এর আগে একই ধরনের মিউটেশন দেখা গেছে। তবে ওই দেশ দুটিতে শুধু একজন করে ব্যক্তির নমুনায় এই মিউটেশন পরিলক্ষিত হয়েছিল।’

নভেম্বরেই এই মিউটেশনের দেশের ধরা পড়লেও বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার দরকার আছে বলেই বাংলাদেশ এ নিয়ে ঘোষণা দেয়নি বলে জানান বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানী।

তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড আমাদের অনেক পরে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে এ ধরনের মিউটেশন ধরা পড়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রাপ্ত নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসে একটি মিউটেশন ঘটেছে স্পাইক প্রোটিনে, যাকে বলা হচ্ছে পি-৬৮১ এইচ মিউটেশন। বাংলাদেশে প্রাপ্ত মিউটেশনটি হলো পি-৬৮১-আর।’

ইংল্যান্ডে নতুন ধরনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

আমাদের করণীয় কী এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম খান বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে আগে ধরা পড়েছে এবং সংক্রমণের হার সেই হারে বাড়েনি, তার মানে আমাদের দেশে নতুন শনাক্ত হওয়া করোনার ইফেক্ট কম। এমনকি রাশিয়া ও পেরুতেও এর প্রভাব অনেক কম।’

বর্তমানে করোনার যেসব টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়েছে তাতে নতুন ধরনটিও প্রতিরোধ করা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো সংক্রমণের যখন টিকা বানানো হয়, তখন জিনোম সিকোয়েন্স ও মিউটেশন বিদ্যমান থাকে তার ওপরে নির্ভর করে টিকা তৈরি করা হয়। সেক্ষেত্রে নতুন মিউটেশন তৈরি হলে টিকা কার্যকর হবে না এটাই স্বাভাবিক, এ বিষয়ে বিস্তারিত এখন বলতে পারব না।’

এ বিভাগের আরো খবর