চীনের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি বা ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ স্থুল।
স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বয়স্কদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাড়তি ওজনের অধিকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬.৪ শতাংশ অতিরিক্ত মোটা।
বাড়তি ওজনের জন্য শারীরিক কাজ করার মাত্রা কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদেনে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনা বয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও কম ব্যক্তি প্রতি সপ্তাহে এক বার মাত্র ব্যায়াম করেন।
এ ছাড়া বেশি মাংস খাওয়া ও ফল কম খাওয়ার প্রবণতাকেও ওজন বাড়ার কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে।
চীনের হারবিন শহরের পুষ্টিবিদ ওয়াং ডান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘দেশে বয়স্কদের মধ্যে অনেকেই এখন কম ব্যায়াম করেন ও অনেক বেশি চাপে থাকেন; অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিকল্পনা তাদের।’
২০০২ সালে চীনে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ২৯ শতাংশ অতিরিক্ত ওজনের ছিলেন। এর পর থেকেই দেশটিতে এর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে।
কয়েক দশকে চীনের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সে দেশের জনগণের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় অনেক পরিবর্তন এনেছে।
শরীরের অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ অন্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় স্থুলতার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। কারণ গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত ওজনধারী বা স্থুল ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতায় বেশি ভোগেন। এমনকি এতে তাদের মৃত্যুও হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলকায় মানুষের সংখ্যা শুধু চীনেই বাড়েনি।
চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের পর থেকে নিম্ন, মধ্যম আয়ের দেশসহ অন্য অনেক দেশে স্থুলতার মাত্রা তিন গুণ বেড়েছে।