বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি: ডব্লিউএইচও

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৩৯

নতুন করোনাভাইরাসটিকে প্রাথমিকভাবে সার্স সিওভি টু-এর একটি পরিবর্তিত ধরন হিসেবে মনে করছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। ডব্লিউএইচওকে তারা জানিয়েছেন জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই পরিবর্তিত ধরন তৈরি হয়েছে। এটির নাম দেয়া হয়েছে সার্স সিওভি টু ভিইউআই-২০২০/০১ (ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন, বর্ষ ২০২০, মাস ১২, ধরন ০১)। 

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া অত্যন্ত ছোঁয়াচে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

প্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেও মনে করছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা।

নতুন করোনাভাইরাসটিকে প্রাথমিকভাবে সার্স সিওভি টু-এর একটি পরিবর্তিত ধরন হিসেবে মনে করছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। ডব্লিউএইচওকে তারা জানিয়েছেন জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই পরিবর্তিত ধরন তৈরি হয়েছে। এটির নাম দেয়া হয়েছে সার্স সিওভি টু ভিইউআই-২০২০/০১ (ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন, বর্ষ ২০২০, মাস ১২, ধরন ০১)

তবে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে এটি একেবারেই নতুন একটি করোনাভারাস বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে চলতি ডিসেম্বরেই এটি প্রথম শনাক্ত হয়। পরে ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়াতেও সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

ডব্লিউএইচওর জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক প্রধান মাইকেল রায়ান সোমবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চলমান মহামারির মধ্যেই বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা এটি (করোনার নতুন ধরন) ছড়ানোরও উচ্চ মাত্রা পেয়েছি। তবে এই ভাইরাসটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণশীল অবস্থাতেই পেয়েছি।

‘তাই বলা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার অবস্থায় পৌঁছায়নি। তবে এটাকে ছড়াতে দেয়া যাবে না।’

এর আগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছিলেন, করোনার নতুন ধরনটি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’।

চলমান কোভিড ১৯ মহামারিতে ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটনোর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসটির নাম সার্স সিওভি টু। এই ভাইরাসটিকে মোকাবিলায় বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখন এর আরেক ধরন শনাক্তের খবর ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা বলছেন, নতুন করোনাভাইরাসটি অন্য ধরনের চেয়ে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ছোঁয়াচে হতে পারে।

করোনা ভাইরাসের অসংখ্য প্রজাতি থাকলেও এখন পর্যন্ত অল্প কয়েকটি মানবদেহে সংক্রমণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর হিসাবে এ ধরনের করোনাভাইরাসের সংখ্যা সাতটি

নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবরের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যে। পুঁজিবাজারে ও জ্বালানি তেলের বাজারে সূচক নিন্মমুখী।

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ভারত, পাকিস্তানসহ প্রায় ৪০টি দেশ।

নতুন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সব দেশের সঙ্গে আকাশপথ ও স্থলপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব, ওমান ও কুয়েত।

অবশ্য এখনই বেশি ভয় পাওয়ার কারণ নেই বলে মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাইকেল রায়ান।

‘বর্তমানে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি সেগুলোই যথাযথ। আমরা যা পালন করে যাচ্ছি তাই ধরে রাখতে হবে। হয়ত আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে বেশি সময় এসব পালন করতে হতে পারে; যাতে করে ভাইরাসটি আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।’

করোনাভাইরাস মূলত মানুষের শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা তৈরি করে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল সংক্রমণটি ঘটে মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। নতুন করোনাভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা শুরু হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভাইরাসকে ঠেকানোর জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ চলমান স্বাস্থ্যবিধিগুলোই প্রযোজ্য হবে।

এ বিভাগের আরো খবর