বাঘ, সিংহের পর চিতাবাঘও করোনায় আক্রান্ত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের চিড়িয়াখানায় তিনটি স্নো লেপার্ড করোনায় আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে নিচি নামের মাদি চিতাবাঘে সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিমতি ও মেরু নামের দুটি মর্দা স্নো লেপার্ডকেও রাখা হয়েছে সন্দেহের তালিকায়। এরা কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল চিড়িয়াখানার প্রাণী।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক প্রাণিস্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রাথমিক ফলাফল থেকে নিচি-র করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন এই তিনটি চিতাবাঘের নমুনা পরীক্ষা হবে একটি জাতীয় পরীক্ষাগারে।
এর আগে এপ্রিলে নিউ ইয়র্কের ব্রনক্স চিড়িয়াখানায় বাঘ ও সিংহের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদের সবারই সর্দি-কাশির উপসর্গ ছিল। ব্রনক্স চিড়িয়াখানার প্রাণীরা তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই সেরে উঠেছে। কেনটাকির চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও আশা করছে, সেখানকার স্নো লেপার্ডের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।
এরইমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গৃহপালিত কুকুর, বিড়াল এবং মিংকয়ের দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গৃহপালিত বিড়াল ও মিংক থেকে মানবদেহে এই ভাইরাসের স্থানান্তর সম্ভব। এ পর্যন্ত অবশ্য শুধু মিংকরাই মানবদেহের কোভিড-১৯ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে এবং শুধু এদের থেকেই মানুষের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে বলেও প্রমাণ মিলেছে।
এ কারণে ডেনমার্কের সরকার এক কোটি ৭০ লাখ মিংক নিধনের ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। যাতে মিংকে ছড়িয়ে পড়া মহামারির ফলে ভাইরাসটির মিউটেশন বা অভিযোজন রোধ করা সম্ভব হয়। এ ধরনের আশঙ্কার পক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ না মিললেও বিজ্ঞানীরা ডেনিশ সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
এখন পর্যন্ত কুকুর বা বিড়াল থেকে মানবদেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এ বিষয়ে সতর্কতা ও নীতিমালা প্রস্তুত করেছে। প্রাণিদেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতির পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত পরীক্ষাগার দরকার। মানুষের দেহে ভাইরাস পরীক্ষার মতো করে তা করা সম্ভব না।