বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা টিকার প্রতি ডোজ ৫৩০ টাকা

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:০৮

স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, ‘উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতিতে’ টিকা কেনা সময়সাপেক্ষ। তাই ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনের’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’ গ্রহণের প্রস্তাব রাখেন তারা।

করোনা টিকা কিনতে প্রতি ডোজে সরকারকে গুণতে হবে ৫৩০ টাকা। তাতে সরকারকে প্রথম দফায় ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে ব্যয় করতে হবে ১  হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো এক সার-সংক্ষেপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে পাঠানো এ সার-সংক্ষেপে করোনা টিকায় সরকারের ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রথম ধাপে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা হবে তিন কোটি ডোজ টিকা।

চুক্তি অনুযায়ী পরিবহনসহ প্রতিটি টিকার জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়ছে পাঁচ ডলার। ওই সার-সংক্ষেপে আরও বলা হয়, আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য বাড়তি খরচ হবে টিকা প্রতি ১ দশমিক ২৫ ডলার। সবমিলিয়ে টিকা প্রতি খরচ দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২৫ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৩০ টাকা।

টিকা কিনতে গত ৫ নভেম্বর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

দ্রুত করোনার টিকা কিনতে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’ গ্রহণ করেছে সরকার। ২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের এ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বৈঠকের আগে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান কমিটির কাছে সার-সংক্ষেপটি পাঠান। স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, ‘উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতিতে’ টিকা কেনা সময়সাপেক্ষ। তাই ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনের’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’ গ্রহণের প্রস্তাব রাখেন তারা।

সেখানে বলা হয়: প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা, গুণগত মান, কার্যকারিতা এবং সংরক্ষণের জন্য তাপমাত্রা–এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও এস্ট্রাজিঙ্কার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকার প্যাটেন্ট নিয়ে কাজ করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। আর তাদের কাছ থেকেই টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতি অনুযায়ী জরুরি পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগ সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্রয় আদেশ দিতে পারে। এর বেশি হলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগে। অতি জরুরি পরিস্থিতিতে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’ অবলম্বন করতে হলে মন্ত্রিসভা কমিটিতে সুপারিশ পাঠাতে হয়।   

প্রথম ধাপের টিকা কেনার জন্য তা করতে হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেক্সিমকো ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনার টিকা আনা হচ্ছে। সামনের জানুয়ারি থেকে এ টিকা দেশে আসতে পারে। টিকা সংরক্ষণ করা হবে বেক্সিমকোর সংরক্ষণাগারে। ভারত যে দামে টিকা পাবে সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকেও একই দামে তা দেবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অক্সফোর্ডের তৈরি টিকাটি ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় ধাপে প্রয়োগ চলছে। বলা হচ্ছে, এই কেনার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

একজনের দেহে দুটি করে টিকা দেয়া হবে। দেড় কোটি মানুষকে ২৮ দিন পর পর এ টিকা দেয়া হবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এই টিকা আমদানি করবে বাংলাদেশ। চুক্তিতেও বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রথম ধাপের তিন কোটি টিকা বিনামূল্যে দেয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর