সব ঠিক থাকলে করোনাভাইরাসের টিকা জানুয়ারিতেই পাবে বাংলাদেশ। দেরি বা জটিলতা এড়াতে দরপত্র ছাড়াই এ টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দরপ্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল অনলাইন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের টিকা একই সঙ্গে কেনা হবে। নিয়ম অনুযায়ী ৫ কোটি টাকার বেশি সরকারি কেনাকাটা হলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন নিতে হয়। যেহেতু করোনা টিকা একসঙ্গে কেনা হবে, তাই সরকার আগে থেকেই অনুমোদন নিয়ে রাখল। এতে করোনা টিকা কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হবে না।
এর আগে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রথম দফায় আসা তিন কোটি টিকা বিনা মূল্যে দেয়ার বিষয়টিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা কেনার বিষয়ে সমঝোতাতেও সায় দেয় মন্ত্রিসভা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল মেনে এসব টিকা বিতরণ করা হবে।
পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠকে আলোচনার বরাত দিয়ে সচিব জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় করোনার টিকা কিনতে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান মনে করেন, টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সেটি বাস্তবায়নের কৌশল তৈরি করবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, প্রচলিত ব্যবস্থায় তিন কোটি টিকা সংরক্ষণের সামর্থ্য সরকারের আছে। টিকা কেনার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যে টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণ করা যাবে, সেই টিকাই কেনা হবে।