বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ফুসফুসের ক্ষতি ‘শনাক্ত’

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:৫৩

১৯ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১০ জন রোগীকে ওই বিশেষ পদ্ধতিতে স্ক্যান করেন গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক ফেরগাস গ্লিসন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিন মাসের বেশি সময় পরও ফুসফুসে শনাক্তযোগ্য অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুসফুসে অস্বাভাবিকতা বা ক্ষতি চিহ্নিত করতে প্রচলিত স্ক্যানের পরিবর্তে ১০ জন রোগীকে বিশেষভাবে স্ক্যান করা হয়। তা হলো এমআরআই স্ক্যানের সময় জেনন নামে এক ধরনের গ্যাস ওই সময় ব্যবহার করা হয়। রোগীরা স্ক্যানের সময় গ্যাসটি শ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে নেন।

১৯ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১০ জন রোগীকে ওই বিশেষ পদ্ধতিতে স্ক্যান করেন গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক ফেরগাস গ্লিসন।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তিন মাস পর ওই ১০ রোগীর মধ্যে আট জন টানা শ্বাসস্বল্পতা ও ক্লান্তিতে ভুগছিলেন। করোনার সময় এদের কেউই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হননি। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ারও প্রয়োজন পড়েনি। তাদের ফুসফুসে কোনো ধরনের সমস্যা ওই সময় প্রচলিত স্ক্যানে দেখা যায়নি।

কিন্তু জেনন পদ্ধতির এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, শ্বাসকষ্টে ভোগা ওই আট রোগীর ফুসফুসের কয়েকটি জায়গার রক্তে বাতাস সহজে প্রবাহিত হচ্ছে না।

গবেষণায় প্রাপ্ত ফল দেখে গ্লিসন এ বিষয়ে আরও বড় আকারে পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেন। করোনায় আক্রান্ত রোগী যারা হাসপাতালে ভর্তি হননি এবং এ ধরনের গুরুতর উপসর্গ ছিল না, এমন ১০০ রোগীর ওপর একই ফল আসে কি না, তা দেখতে চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন গ্লিসন।

এই গবেষণার মূল লক্ষ্য, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় কি না; হলেও তা স্থায়ী হয় নাকি একটা সময় পর সেরে যায়, তা দেখা।

গ্লিসন বলেন, ‘করোনায় ফুসফুস কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা জানতাম। তবে এতটা হবে, তা ভাবিনি।’

জেনন পদ্ধতিতে শনাক্ত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস ‘লং কোভিডের’ (করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস অসুস্থ বোধ করা) অন্যতম দিক হতে পারে বলে মনে করছেন গ্লিসন।

অধ্যাপক জেমস ওয়াইল্ডের নেতৃত্বে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল বিশেষ ধরনের স্ক্যান পদ্ধতিটি উন্নত করেছে। ওয়াইল্ডের ভাষ্য, বিশেষ স্ক্যানটি করোনায় আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসে ক্ষতি হয়েছে কি না, তা দেখার এক ‘বিশেষ’ পদ্ধতি।

এ বিভাগের আরো খবর