বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার কম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ২৩:০৫

বাংলাদেশি তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের (এসআরএইচআর) ওপর গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে এ কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশি তরুণদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার কম বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশি তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের (এসআরএইচআর) ওপর গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে এ কথা জানানো হয়।

এ ফলাফল প্রকাশ করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ (ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ)।

এজন্য সোমবার ‘বাংলাদেশে তরুণ পুরুষদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার (এসআরএইচআর) প্রচার: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

‘বাংলাদেশের তরুণ পুরুষদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার: একটি মিশ্র পদ্ধতির জাতীয় গবেষণা’ শীর্ষক এ গবেষণায় অর্থায়ন করেছে রয়্যাল কিংডম অফ নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বেসি।

ওয়েবিনারে ব্র্যাকের জেপিজিএসপিএইচের ডিন প্রফেসর সাবিনা ফায়েজ রশিদ, গবেষণা সমন্বয়কারী ফারজানা মিশা এবং জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো সুবাস বিশ্বাস গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কিশোর এবং প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মোহাম্মাদ জয়নাল হক, এনসিটিবির কারিকুলাম বিভাগের সিনিয়র স্পেশালিস্ট সৈয়দ মাহফুজ আলি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সের প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।

প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু (এনডিসি)। অধিবেশনে সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থার কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ তরুণদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, উৎস, এসআরএইচআর কার্যক্রম এবং জাতীয় এসআরএইচআর নীতি ও আইনের ওপর প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে।

গবেষণার ফল অনুযায়ী, তরুণদের যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার কম। কারণ এই সুবিধা সহজে পাওয়া যায় না। তারওপর স্বাস্থ্যসেবা নিতে তরুণদের এসআরএইচ বিষয়ক আলোচনা যথোপযুক্তভাবে পরিকল্পিত না।

উদাহরণ হিসেবে পাঠ্যপুস্তকে নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যাবলি থাকলেও এ ক্ষেত্রে পুরুষ বিষয়ক আলোচনার অন্তর্ভুক্তি কম।

জাতীয় নীতিগুলো ও ‍উন্নয়ন নির্ধারক সূচকগুলো নারী এসআরএইচআর উন্নয়নকেন্দ্রিক।

তরুণ পুরুষদের এসআরএইচআর বিষয়ক বর্তমান আইন বিশেষ করে পিনাল কোডের ৩৭৫ ধারা পুরুষকে ধর্ষণের ভুক্তভোগী হিসেবে স্বীকার করে না।

ড. জয়নাল হক তার বক্তব্যে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং বিদ্যালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে তথ্য, পরামর্শ এবং সেবা সংক্রান্ত সাহায্য আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি সরকারের ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করেন।

সৈয়দ মাহফুজ আলি নেতিবাচক পুরুষতান্ত্রিকতার প্রভাব, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা, গ্যাং কালচার ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে ছেলেদের জন্য পাঠ্যপুস্তকে এসআরএইচআর শিক্ষাক্রম উন্নয়ন নিয়ে তার মত প্রকাশ করেন এবং নারীদের মতো পুরুষদের জন্যও পাঠ্যপুস্তকের বিষয় নির্ধারণের কথা বলেন।

তিনি কিশোরদের এবং তরুণদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে সেসবের ওপর তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে এনসিটিবি শিক্ষাক্রম পুনর্বিবেচনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং এসআরএইচআর সংক্রান্ত বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্তি নিয়ে পরামর্শ দেয়ার ব্যাপারে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করেছেন।

তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলেন, পুরুষদের এসআরএইচআরের উন্নয়ন ছাড়া নারীদের এসআরএইচআরে সর্বাধিক উন্নয়ন অর্জন করা অসম্ভব।

তিনি জেনারেশন ব্রেকথ্রু (কিশোরদের জন্য একটি এসআরএইচআর কার্যক্রম)-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার একযোগে কাজ করার ইতিবাচক দিকের ওপর দৃষ্টি দিতে বলেন।

প্রফেসর ড. বেলাল সমাজ, বিশেষ করে পিতা-মাতা এবং সমাজের নেতাদের এসআরএইচআর বিষয়ে সংবেদনশীল করার ক্ষেত্রে দেশের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কৌশল অবলম্বনের গুরুত্বের কথা বলেন।

জাতীয় নীতিতে তরুণদের এসআরএইচআর সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা এবং সরকারি, বেসরকারি ও সমাজের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবিলম্বে কার্যক্রম শুরুর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর