হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এমন সময় দেখা দেয় ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে শুরু করে আরও কিছু সমস্যা। এ ছাড়া চারদিকে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা।
এমন বাস্তবতায় সুস্থ থাকার একমাত্র উপায় ভালো ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। আর রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে দরকার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এ খাবারগুলো ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে রসদ জোগাবে।
শীতের সময়ে ৬টি খাবার আপনাকে সুস্থ-সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু শীতের সময়ের খুবই পুষ্টিকর খাবার। আলুতে একটু সুগার থাকলেও এর পুষ্টিমান অনেক। মিষ্টি আলুতে ফাইবার, ভিটামিন-এ, পটাশিয়ামের পরিমাণও বেশি। নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
শালগম: শালগম ও এর পাতায় দুর্দান্ত এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে থাকে। আর এর পাতায় থাকে ভিটামিন-এ, যা আপনার হাড়কে শক্তিশালী করবে। এ ছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার উন্নতি ঘটাবে এ খাবারটি।
খেজুর: খেজুরে ফ্যাট অনেক কম। পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউজও বলা হয় একে। যারা নিয়মিত জিম করেন, তাদের জন্য খেজুর বাধ্যতামূলক। শীতকালে খেজুর খেলে আপনার শরীর উষ্ণ থাকবে।
কাজুবাদাম ও আখরোট: কাজুবাদাম ও আখরোট স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। দেহে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এই দুটো বাদাম একসঙ্গে খেলে ভালো ফল মিলবে।
রেগি পাউডার: নিরামিষভোজীদের জন্য রেগি পাউডার ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ করে। আবার অনিদ্রা, হতাশা, উদ্বেগ দূর করতেও সাহায্য করে।
রেগি আটার তৈরি বিস্কুট।
বজরা: ছোটো ফলটি প্রচুর ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে হাড় শক্ত করার কাজেও সাহায্য করে।