অক্সফোর্ডের করোনার টিকা পেতে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।
সমঝোতা অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসকে অক্সফোর্ডের তৈরি সার্স-সিওভি-টু এজেডডি ওয়ান টু টু টু (অক্সফোর্ড/এস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন) সরবরাহ করবে।
বেক্সিমকোর কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টিকা কিনবে সরকার। পরিবহনসহ প্রতি ডোজ টিকা দেশে আনতে খরচ হবে ৫ ডলার। শুরুতেই টিকা পাবেন করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত ফ্রন্টলাইনাররা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তাদের কারখানাতেই অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদন করবে। বেক্সিমকো বাংলাদেশে এই টিকা আমদানি, সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবে। টিকা কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থও বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো। পরে সরকার তা পরিশোধ করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নুর ও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরি হলে প্রথম দফাতেই বাংলাদেশকে তিন কোটি ডোজ দেবে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেড় কোটি মানুষকে এই ভ্যাকসিন দিতে পারব। কারণ, একজন মানুষের দুই ডোজ করে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে।’
জানুয়ারির মধ্যেই টিকার জোগান পাওয়ার আশা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, নিরাপদ, কার্যকর এবং কম দামের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সিরামের কাছ থেকে অক্সফোর্ডের টিকা আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন অক্সফোর্ডের টিকা শুধু দামের দিক থেকে সস্তা হবে না। কার্যকর টিকা হিসেবে এটিই সবচেয়ে দ্রুত বাজারে আসতে পারে। এই টিকা এ অঞ্চলের আবহাওয়ারও উপযোগী।
করোনা টিকার ১০০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন ও বিভিন্ন দেশে সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে আংশীদারত্ব চুক্তি রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের।