বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষতিকর খাবারে শিশুর আসক্তি বাড়াচ্ছে ইউটিউব

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ২০:০৪

শিশুদের বেশকিছু জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল সুচারুভাবে প্রচার করছে মিষ্টি পানীয় ও জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন। আর মনের অগোচরে তাতে আসক্ত হচ্ছে সারা বিশ্বের লাখ লাখ শিশু। যুক্তরাষ্ট্রের পেডিয়াট্রিকস জার্নালে সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে সতর্ক করা হয়েছে অভিভাবকদের।

ঘরের বদ্ধ জীবনে হাপিয়ে ওঠা শিশুদের নিয়ে অভিভাবকের উদ্বেগের শেষ নেই। করোনা মহামারীতে বিশ্বব্যাপী একই চিত্র।

ঘরবন্দি শিশুদের অনেকটা সময় এখন কাটছে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের সামনে। ইউটিউবে তাদের জন্য রয়েছে আলাদা শিশু-কিশোর সেলিব্রেটি।

একটু কান পাতলেই ঘরের শিশুর মুখে শুনতে পাবেন এ ধরনের নানান সেলিব্রেটির নাম।

ইউটিউবে ছোটরা ছোটদের ভিডিওতেই মজে আছে- ভেবে হয়ত স্বস্তি পাচ্ছেন। তবে গবেষণা বলছে, অতটা স্বস্তিতে থাকার খুব একটা সুযোগ নেই।

শিশুদের বেশকিছু জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল সুচারুভাবে প্রচার করছে মিষ্টি পানীয় ও জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন। আর মনের অগোচরে তাতে আসক্ত হচ্ছে সারা বিশ্বের লাখ লাখ শিশু।

যুক্তরাষ্ট্রের পেডিয়াট্রিকস জার্নালে সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে সতর্ক করা হয়েছে অভিভাবকদের।

শিশুদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় ৪১৮টি ইউটিউব ভিডিওর বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গবেষকেরা। এর মধ্যে ১৭৯ ভিডিওতেই শিশু সেলিব্রেটিরা কোনো না কোনো জাঙ্ক ফুড অথবা মিষ্টি পানীয়র বিজ্ঞাপন করেছে। এসব ভিডিওতে ২৯১ বার এসেছে খাবারের প্রসঙ্গ, যেগুলোর বেশিরভাগই অস্বাস্থ্যকর।

গবেষণার জন্য বেছে নেয়া খাবার সংশ্লিষ্ট ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে ১০০ কোটি বার।

শিশুদের পছন্দের রায়ান’স ওয়ার্ল্ড শোর কথাই ধরা যাক। সাদা চোখে বিশেষ কিছু ধরার উপায় নেই। তবে উপস্থাপক রায়ান কাজি নামের ছোট্ট শিশুটি বেশিরভাগ ভিডিওতেই এমন খাবারের খেলনা ব্যবহার করেছে যেগুলো নামী ব্র্যান্ডের নানান জাঙ্ক ফুড।

রায়ান কাজি ম্যাকডোনাল্ডসের ক্যাপ মাথায় দিয়েও হাজির হয় অনেক ভিডিওতে।

গবেষকেরা দেখেছেন, খেলনা বা অন্য কোনো উপায়ে যেসব খাবারের বিজ্ঞাপন ভিডিওগুলোতে দেয়া হয়েছে, তার প্রায় ৯৫ ভাগই শিশুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোতে আসক্তি কেবল স্থূলতার ঝুঁকি তৈরি করছে না, পরবর্তী জীবনের খাদ্যাভাসেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

শিশুদের ভিডিওতে কৌশলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন বন্ধে ইউটিউব ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকেরা।

এ ধরনের ভিডিওর ক্ষতির দিক স্বীকার করেছে ইউটিউবও।

সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইউটিউব কিডস অ্যাপের উন্নয়নে আমরা বিপুল বিনিয়োগ করেছি। ইউটিউব কিডসে আমরা কোনো প্রমোশনাল কন্টেন্টকে জায়গা দিচ্ছি না, এখানে খাবার অথবা পানীয়র বিজ্ঞাপন দেয়ার ক্ষেত্রেও পরিষ্কার নীতিমালা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর