মানবদেহে ক্যালসিয়ামের গুরুত্বের কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। বিশেষ করে হাড়ের মজবুত গঠনে ক্যালসিয়াম খুব জরুরি। আমরা এ জন্য, দুধ, ডিম, শাকসবজি, বাদামসহ ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ নানা খাবার খাই।
ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস হচ্ছে ডিমের খোসা। হেলথলাইন পত্রিকার একটি নিবন্ধে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিবন্ধে বলা হয়, ডিমের খোসার বেশির ভাগ অংশই ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে তৈরি ।
ইঁদুর ও শূকর ছানার ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, ডিমের খোসা ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ এবং পিউরিফায়েড কার্বোনেটের তুলনায় ডিমের খোসার গুড়ো শরীরে ভালোভাবে শোষণ হয়।
গবেষকদের মতে, একটি ডিমের খোসা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক চাহিদার অনেকটাই পূরণ করত পারে, যা কিনা প্রতিদিন এক হাজার মিলিগ্রাম। একটি ডিমের খোসায় পাওয়া যায় ৩৮১-৪০১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন ছাড়াও ডিমের খোসায় স্ট্রন্টিয়াম, ফ্লুরাইড, ম্যাগনেশিয়াম এবং সেলেনিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ অল্প পরিমাণে থাকে। ক্যালসিয়ামের মতো এসব খনিজও হাড়ের স্বাস্থ্য গঠনে ভূমিকা রাখে।ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ ছাড়াও ডিমের খোসার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। জি ২৪ ঘণ্টার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রূপচর্চাসহ ঘর গেরস্থালির কাজেও লাগে ডিমের খোসা।
ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে দুটি ডিমের খোসা মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুদিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যে বাড়বে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য।
ভিনেগারের সঙ্গে ডিমের খোসার গুড়ো মিশিয়ে কয়েকদিন রেখে দিন। কোনো জায়গায় ব্যথা হলে মিশ্রণটি সেখানে লাগিয়ে আলতোভাবে মালিশ করুন। ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
থালা-বাসন মাজার সময় ডিমের খোসার গুড়ো ব্যবহার করুন। তেল ও কঠিন দাগ দূর হবে নিমিষেই।
বাগানে গাছের গোড়ায় দিন ডিমের খোসা। পোকামাকড় সব দূরে থাকবে।
চা বা কফি তেঁতো লাগলে একটু ডিমের খোসার গুড়ো ছিটিয়ে দিন। চলে যাবে তেঁতো স্বাদ।
সূত্র: হেলথলাইন ও জি ২৪ ঘণ্টা