করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে। বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির একটা সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এ পরিসংখ্যানে। এমন বাস্তবতায় শনিবার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য: অধিক বিনিয়োগ-অবাধ সুযোগ’।
দিবসটি পালনে ডব্লিউএইচও ‘বিগ ইভেন্ট ফর মেন্টাল হেলথ’ শিরোনামের অনলাইন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
এর আগে দিনটিকে সামনে রেখে মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ চালায় ডব্লিউএইচও। সে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির কারণে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিতদের ৭২ শতাংশই শিশু-কিশোর। এ ছাড়া বৃদ্ধদের ৭০ শতাংশ এই সেবা পাচ্ছেন না।
১৩০টি দেশের ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৯৩ শতাংশ দেশে করোনা মহামারি মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে ব্যাহত করেছে।
জরিপে আরও বলা হয়, ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে বাধা পেয়েছে কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপি। বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে।
৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের জরুরি সেবা ব্যাহত হয়েছে। সেবা না পাওয়া রোগীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্তরাও রয়েছেন।
সমীক্ষায় বলা হয়, মহামারির সময় ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে মানসিক ও স্নায়ু রোগীরা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ব্যাহত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ জাতি গঠনে সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
তিনি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অবারিত করায় মনোযোগী হতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।