শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী-বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি, ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা, পুরুষতান্ত্রিকতা দূরীকরণে কাজ করবে ‘অপরাজিতা’।
নারীদের সফট স্কিলড নিশ্চিত করতে বেসরকারি এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন ও সুইডেনের অর্থায়নে ১২টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা সরকারের পাশে থেকে এসব কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। আর সে লক্ষ্যেই গঠন করা হয়েছে ‘অপরাজিতা’ নামের এই প্রকল্প।
গাজীপুরের একটি রিসোর্টে মঙ্গলবার এই প্রকল্পের অবহিতকরণ সভার উন্মুক্ত আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পটি নারী গার্মেন্টকর্মীদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন- ভবিষ্যৎমুখী দক্ষতা অর্জন, ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত ও পছন্দসই সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে।
সভায় বক্তারা বলেন, আগামীতে প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্তভাবে সজ্জিত করার উদ্দেশ্যে নারী শ্রমিকদের তৈরি করা হবে।
‘অপরাজিতা’ (কালেক্টিভ ইমপ্যাক্ট অন ফিউচার অফ ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ) প্রকল্পটি গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ২০২৪ সাল পর্যন্ত কাজ করবে। উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিরাপদ করার জন্য সামগ্রিকভাবে বাধাগুলো মোকাবিলা করা এবং সমাজ, শিল্প ও কর্মশক্তিতে ট্রান্সফরমেটিভ পরিবর্তন করা।
প্রকল্পের সিনিয়র টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) ওয়াহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- কেয়ার বাংলাদেশ-এর ডিরেক্টর (নারী ও কন্যা শিশু ক্ষমতায়ন) রওনক জাহান।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ, ব্যাংক, বিভিন্ন পোশাক শিল্পের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১২টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মধ্যে কেয়ার বাংলাদেশ, সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ, আইডিই, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, দি এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ভার্ক উল্লেখযোগ্য। তারা আলাদাভাবে এসব বিষয়ের ওপর কাজ করবে।