নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগ নিয়ে করা খবরে ত্রুটিপূর্ণ হেডলাইন দেয়ার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ নারীরা কি সব করতে পারে?’ এমন হেডলাইন দিয়ে জেসিন্ডাকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশ করে বিবিসি। সেখানে ছোট সন্তানের কর্মজীবী মা হিসেবে জেসিন্ডা আরডার্নের জীবন উল্লেখ করা হয়েছে, তবে হেডলাইনটি নিয়ে সমালোচনা হওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে পরিবর্তন করে সংবাদমাধ্যমটি। পরে পরিবর্তিত শিরোনামে বলা হয়, ক্লান্ত হয়ে পদত্যাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
অনেকে বিবিসির এই হেডলাইনটিতে পুরুষকে প্রাধান্য দেয়ার অভিযোগ করেছে। আবার অনেকেই বিবিসিকে নারী বিদ্বেষী সংবাদমাধ্যম হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। গত বছর তিনবার বিয়ে করে সাত সন্তানের জনক হওয়া বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ বিষয়গুলো বিবিসির হেডলাইনে না আসার সমালোচনাও করেছেন অনেকে। ২০১৭ সালে প্রথম নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৭ বছর। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব নেন।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন জেসিন্ডা। আর ১৪ অক্টোবর দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।