বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণের পর হত্যায় ট্রান্সজেন্ডার নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫১

২০০৬ সালে সাবেক বান্ধবী বেভারলি গুন্থারকে হত্যার অভিযোগে অ্যাম্বার ম্যাকলাফলিনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় মিসৌরির আদালত৷ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথবারের মতো কোনো ট্রান্সজেন্ডার নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।

সাবেক বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো এক ট্রান্সজেন্ডার নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে৷ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে এ শাস্তি কার্যকর করা হয়৷

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে সাবেক বান্ধবী বেভারলি গুন্থারকে হত্যার অভিযোগে অ্যাম্বার ম্যাকলাফলিনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় মিসৌরির আদালত৷ দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরও অ্যাম্বার ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করতে থাকায় বেভারলি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন৷ তাতেও তার শেষরক্ষা হয়নি৷ ২০০৩ সালে মিসিসিপি নদীর তীরে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ ধর্ষণের পর রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় তাকে৷

বিচারকরা সর্বসম্মতিক্রমে অ্যাম্বারলিকে দোষী সাব্যস্ত করলেও মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়৷ অচলাবস্থা কাটাতে একজন বিচারক তখন মিসৌরির বিশেষ আইন প্রয়োগের পক্ষে রায় দেন৷

২০১৬ সালে অ্যাম্বারের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে নতুন করে শুনানির আদেশ দেয় আদালত, তবে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় আপিল আদালত ২০০৬ সালের আদেশই বহাল রাখে৷

অ্যাম্বারের আইনজীবীরা তখন তার যন্ত্রণাময় শৈশব এবং দীর্ঘদিন হতাশার কথা উল্লেখ করে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার আর্জি জানান৷ কিন্তু রিপাবলিকান গভর্নর মাইক পারসন তাতে সায় না দেয়ায় সে চেষ্টাও বিফলে যায়৷

মঙ্গলবার বোনে টেরে শহরের ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কারেকশন সেন্টারে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিলে অ্যাম্বার ম্যাকলাফলিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন৷

অ্যাম্বারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর এক লিখিত বিবৃতিতে মিসৌরির গভর্নর মাইক পারসন বলেন, ম্যাকলাফলিনের কারণে জীবনের শেষ কয়েকটি বছর গুন্থারকে ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হয়েছে৷ অবশেষে তার পরিবার এবং অন্যান্য ভালোবাসার মানুষ একটু শান্তি পেলেন৷

এ বিভাগের আরো খবর