নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ না দিলে তালেবানকে মূল্য চুকাতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, আফগান নারীদের মৌলিক অধিকার দিতে না চাইলে বাকি বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারবে না তালেবান।তিনি বলেন, ‘আফগান নারী ও মেয়েদের অন্ধকার ভবিষ্যতের শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। মূল কথা হলো, অর্ধেক জনসংখ্যাকে অবদান রাখার সুযোগ না দিলে কোনো দেশ সফল হতে পারবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর গত বছর দেশটির ক্ষমতা নেয় তালেবান। এর পরই সহায়তানির্ভর আফগানিস্তানে নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমারা। সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটির নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় স্বার্থ ও নারীদের সম্মান রক্ষার জন্য তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আফগানিস্তানে নারীদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এর সমালোচনা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জিসেভেন জানিয়েছে, নারীদের প্রতি এ নিপীড়ন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বৃহস্পতিবার বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা ইসলামী বা মানবিক নয়।
এর আগেও নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানে কট্টর শাসনের জন্য সমালোচিত হয় তালেবান, তবে গত বছর ক্ষমতা নেয়ার সময় গোষ্ঠীটি মধ্যপন্থা অবলম্বনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।