নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে ইরান সরকার দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখায় দেশটিকে জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় বুধবার ভোটাভুটির পর দেশটিকে ওই সংস্থা থেকে সরিয়ে দেয় জাতিসংঘ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী অধিকারের কাঠামোগত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন থেকে ইরানকে বহিষ্কারে জাতিসংঘের ৫৪ সদস্যের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে বুধবার খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়।
২৯-৮ ভোটে ইরানকে বহিষ্কারের প্রস্তাবটি পাস হয়, তবে ১৬ সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
ভোটাভুটির মাধ্যমে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ভোটের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড টুইটে বলেন, ‘জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবেমাত্র নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত কমিশন থেকে ইরানকে অপসারণে ভোট দিয়েছে। ইরানি নারী ও কর্মীরা আমাদের এমনটি করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ আমরা এটি সম্পন্ন করেছি।’ইরান জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে। এর আগে দেশটি বলেছিল, এ ধরনের পদক্ষেপ একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত নজির’ তৈরি করবে।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। চলমান বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরান সরকার এরই মধ্যে প্রকাশ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইরানে চলা বিক্ষোভে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন।
জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে প্রতি বছরের মার্চে সংস্থাটির সদস্যরা বৈঠক করেন।