কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান নারীবাদী ডরোথি পিটম্যান হিউজ মারা গেছেন।
ফ্লোরিডার টাম্পায় গত ১ ডিসেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে মেয়ে ডেলেথিয়া রিডলি মালামস্টেনের বাসায় ৮৪ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯৩৮ সালের ২ অক্টোবর জর্জিয়ার লাম্পকিনে জন্মগ্রহণ করেন ডরোথি। তিনি তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
ডরোথির পারিবারিক বিবরণীতে তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, তিনি অল্পবয়সেই অধিকারকর্মী হয়ে উঠেছিলেন।
ডরোথি নিউইয়র্ক সিটিতে নারী ও শিশুর সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রথম আশ্রয়ণ প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্ক সিটি এজেন্সির সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি ম্যানহাটনের পশ্চিম পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন, যা অনেক পরিবারকে ডে কেয়ার, কাজের প্রশিক্ষণ, এডভোকেসি প্রশিক্ষণসহ আরও অনেক সেবা দেয়।
ডেলেথিয়া রিডলি মালামস্টেন জানান, তার মা শিশুকল্যাণ আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেছেন।
ডরোথি ১৯৬০-এর দশকে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, ম্যালকম এক্স এবং অন্যদের সঙ্গে নাগরিক অধিকার আন্দোলনসহ আরও অনেক কাজে যুক্ত ছিলেন।
ডরোথির বইয়ে উঠে এসেছে শ্রেণিবাদ, বর্ণবাদ, লিঙ্গ বৈষম্য ও ক্ষমতার বৈষম্যের বিরুদ্ধে নানা প্রসঙ্গ।
গত বছর মিস ম্যাগাজিনে লরা এল লোভাট, হিউজের জীবনী উইথ হার ফিস্ট রেইজড প্রকাশ করেন। লরা এল লোভাট জানান, ডরোথি নিজেকে একজন নারীবাদী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতেন। তার নারীবাদের মূল বিষয় ছিল খাদ্যের নিরাপত্তা, আশ্রয়, শিশুর যত্ন আর মৌলিক প্রয়োজনের সংগ্রাম।