ইরানের নারীদের ‘হিরোস অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে প্রায় আড়াই মাস ধরে ইরানে বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। আর এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইরানি নারীরা।
টাইম বলছে, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগের ‘বৈধতা’ স্বীকার করেছে ইরান সরকার। তাদের প্রতিক্রিয়ায় সেটার প্রমাণ মিলেছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনি নামে এক কুর্দি তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। ২২ বছরের মাহসার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহসার। সেদিন সন্ধ্যা থেকে বিক্ষোভে ফেটে পরে ইরানের সাধারণ জনগণ। অল্পদিনেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে গোটা ইরানে।
বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নেয় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সহিংস। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে, সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন; গ্রেপ্তার আছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।
এসবের মধ্যেই সারা ইরানে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ইরানের সরকারবিরোধী পোর্টাল ইরান ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত ভিডিও অনুসারে, পার্স, সাত্তারখান, একবাতান এবং মাজিদিসহ রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন এলাকা এবং শহরতলিতে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ চলছে। তেহরানের উত্তর-পূর্বে আলবোর্জ প্রদেশের কারাজ এবং ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের সানন্দাজ শহরেও চলছে প্রতিবাদ।