বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংসদে সংরক্ষিত আসন চান ট্রান্সজেন্ডাররা

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৫

ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করা ‘সুস্থ জীবন’ নামের বেসরকারি কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই স্মারকলিপি দেন। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানার সঙ্গে তাদের প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক হয়।

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতিনিধিদল। ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য সংসদে অন্তত তিনটি আসন সংরক্ষিত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় হয়রানি ও বিড়ম্বনার অবসানও চেয়েছে প্রতিনিধিদল।

ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়নে কাজ করা ‘সুস্থ জীবন’ নামের বেসরকারি কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই স্মারকলিপি দেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানার সঙ্গে প্রতিনিধিদলের প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক হয়।

পরে ‘সুস্থ জীবন’-এর চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন পূর্ণ হবে সবার অংশগ্রহণে। ট্রান্সজেন্ডারদের অন্ততপক্ষে যেন তিনটি আসন দেয়া হয়।

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড, কাউকে বাদ দিয়ে নয়। তাহলে জাতীয় সংসদে নারী আছে, পুরুষ আছে; আমরা কোথায়? আমাদের দাবিদাওয়া এবং আমাদের নিয়ে কাজ করার জন্য সংসদে প্রতিনিধি দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখন অনেক শিক্ষিত আছে। সম্প্রতি একজন বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব দেয়া হলে অবশ্যই আমরা পালন করতে পারব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের বলেছেন কী করা যায় দেখবেন। সংবিধান কী বলে সেগুলো তারা দেখবেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক করতে বলেছেন।’

পার্বতী আহমেদ বলেন, ‘ভোটার আইডি কার্ড তৈরি ও সংশোধন নিয়েও কথা বলেছি। আমাদের অনেকেরই পুরুষ হিসেবে আইডি কার্ড আছে। এখন সেটা নিয়ে কোথাও গেলে একসেপ্ট করে না। কারণ, আইডি কার্ড এক রকম, আর তাদের দেখতে আরেক রকম। অনেকে এ কারণে হ্যারাচমেন্টের শিকার হচ্ছেন।

‘এ ছাড়া সেখানে অভিভাবকের প্রয়োজন হয়। অভিভাবকরা তো আমাদের অনেক আগেই ছেড়েই দিয়েছেন। পরিবার তো আমাদের রাখে না। তাহলে আমরা অভিভাবক কীভাবে আনব?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এফিডেফিট করতে হয় প্রথম শ্রেণির হাকিম দিয়ে। তিনি আবার থানায় পাঠান। এ জন্য অনেক হয়রানির মুখে পড়তে হতে হয়। এগুলো দেখা হবে বলে বৈঠকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’

পার্বতী আহমেদের সঙ্গে ছিলেন ‘সুস্থ জীবন’-এর সাধারণ সম্পাদক ববি হিজড়া ও কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসার জোনাকী জোনাক।

এ বিভাগের আরো খবর