হিজাব না পরা এক নারীকে সেবা দেয়ায় ইরানে এক ব্যাংক ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে রোববার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ইরানের আইনে, নারীকে অবশ্যই তাদের মাথা, ঘাড়, চুল ঢেকে রাখতে হবে।
সঠিকভাবে হিজাব না করার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
ইরানের বার্তা সংস্থা মেহরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে অবস্থিত কোম প্রদেশের এক ব্যাংক ম্যানেজার বৃহস্পতিবার হিজাব না পরা এক নারীকে ব্যাংক সেবা দেন। পরে ওই ব্যাংক ম্যানেজারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বলে জানায় কোম প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর আহমাদ হাজিজাদেহ।
মেহরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
ইরানের বেশিরভাগ ব্যাংকই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। হাজিজাদেহ জানান, হিজাব আইন বাস্তবায়ন করা প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের দায়িত্ব।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও আন্দোলনকারীসহ অন্তত ১৩০ জন ইরানে নিহত হয়েছেন। ইরানের অভিযোগ, পশ্চিমারা আন্দোলনকে উস্কে দিচ্ছে। তাদের দাবি এটা কোনো বিক্ষোভ না, দাঙ্গা।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত রাজতন্ত্রকে উৎখাত করার মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের ইরানে ইসলামি বিপ্লব ঘটে। এ বিপ্লবের চার বছর পর ইরানে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। তারপরও ইরানের নারীরা আঁটসাঁট জিন্স এবং ঢিলেঢালা রঙিন হেডস্কার্ফে পরতে পারতেন।
তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে অতি-রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেডস্কার্ফ আইন কার্যকর করার জন্য সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এক হওয়ার আহ্বান জানান।