১৮ বছর হলে একজন ভোটার ভোট দিতে পারেন... বিষয়টিকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলছে নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট আদালত। সোমবার এ রুল দেয়া হয়।
‘মেক ইট সিক্সটিন’ নামের একটি সংগঠন ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের ভোটের অধিকার দেয়ার দাবিতে ২০২০ সালে একটি মামলাটি করেছিল।
রুলের পর মেক ইট সিক্সটিন-এর সহকারী পরিচালক ক্যাডেন টিপলার বলেন, এটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী ঘটনা।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো যেসব বিষয় তরুণদের ওপর প্রভাব ফেলে সেসব বিষয়ে তাদের ভোট দিতে পারা উচিত।
আদালতের এ রুলের পর ইস্যুটি এখন আলোচনার জন্য পার্লামেন্টে উত্থাপিত হবে। পার্লামেন্ট সিলেক্ট কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করবে এখন। যদিও এই রুল নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন ভোটের বয়স পাল্টাতে বাধ্য করতে পারবে না।
আদালতের রুলের পর বয়স কমানোর বিষয়টি আইনসভায় তুলতে দ্রুত একটি খসড়া প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভোটারদের বয়স কমানোর পক্ষে। আমার সরকারের জন্য এটা কোনো বিষয়ই না। যেকোনো ইলেক্টোরাল আইন অনুমোদন করাতে হলে ৭৫ শতাংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন থাকা দরকার।’
নিউজিল্যান্ডের সবগুলো রাজনৈতিক দল ভোটারদের সর্বনিম্ন বয়স কমানোর পক্ষে না। নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম বিরোধীদল ন্যাশনাল পার্টিও এই দাবিকে সমর্থন করে না।