বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিরাগ কমিয়ে খানিকটা পুরুষ-অনুরাগী হোন আজ

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৩৮

‘আগ্রাসী’ হিসেবে বছরজুড়ে সমালোচিত পুরুষের চাপা পড়ে থাকা অতি সাধারণ মানবীয় বৈশিষ্ট্যগুলোকে আজ অন্তত ভালোবাসতে পারেন, মন খুলে জানাতে পারেন সম্মান। কারণ আজকের দিনটি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।

সমাজে পুরুষের আধিপত্য নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। নারীর ওপর পুরুষের খবরদারি নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই।

পুরুষের এই প্রচলিত ‘আগ্রাসী’ রূপের আড়ালে অনেক সময়েই ঢাকা পড়ে যায় তাদের সাধারণ মানবীয় বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য কখনও নিবিষ্ট প্রেমিকের, কখনও সন্তানের প্রতি স্নেহময় পিতৃত্বের, কখনও বন্ধুত্বের অথবা কখনও সংসারের জোয়াল কাঁধে বয়ে বেড়ানো একজন ক্লান্ত মানুষের।

আগ্রাসী হিসেবে বছরজুড়ে সমালোচিত পুরুষের চাপা পড়ে থাকা অতি সাধারণ মানবীয় বৈশিষ্ট্যগুলোকে আজ অন্তত ভালোবাসতে পারেন, মন খুলে জানাতে পারেন সম্মান।

কারণ আজকের দিনটি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।

দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য পুরুষের সামাজিক মর্যাদার উন্নয়ন, লিঙ্গভিত্তিক সমতা বজায়, তাদের মানসিক-শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং সমাজে পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা।

পাশাপাশি পরিবারে পুরুষের অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও জানানো হয় এদিন।

সভ্যতার শুরুর দিকে সমাজ নারীনিয়ন্ত্রিত থাকলেও ধীরে ধীরে জায়গাটি চলে গেছে পুরুষের দখলে। এতে নারী নিগ্রহ বাড়লেও ‘শাসক’ পুরুষকেও দিতে হচ্ছে মূল্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বেহিসাবি জীবনযাপনে অভ্যস্ত পুরুষের অকালমৃত্যুর হার নারীর তুলনায় অনেক বেশি।

বিষয়টিকে এখন অতি স্বাভাবিক ‘প্রাকৃতিক ঘটনা’ হিসেবে বিচার করেন অনেকে। তবে একেও একধরনের ‘লিঙ্গ অসমতা’ হিসেবে মনে করছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, ক্রমবর্ধমান প্রমাণগুলো দেখাচ্ছে পুরুষের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত লিঙ্গ সমতা নীতির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। পুরুষ ও নারী সবার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যই লিঙ্গ সমতা নীতি বিবেচনা করা প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ মৃত্যুর ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে অসংক্রামক রোগ অথবা আঘাতজনিত কারণ দায়ী। হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসযন্ত্রের রোগের বেশি শিকার হন পুরুষ। নারীদের তুলনায় পুরুষ কম চিকিৎসকের কাছে যান এবং স্বাস্থ্যের দিকে তাদের নজরও অনেক কম।

ডব্লিউএইচও বলছে, ‘পুরুষত্বের ইমেজ’ ধরে রাখার আর্থসামাজিক চাপ পুরুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। আমরা সবাই জানি, সমাজে এখনও ব্যথিত পুরুষের চোখের জল ফেলতে মানা, কিংবা কর্মজীবন শেষে বেশি নিঃসঙ্গতার শিকার হন পুরুষ।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানসাস সিটির মিসৌরি সেন্টার ফর মেস’স স্টাডিজের পরিচালক টমাস অস্টার ১৯৯২ সালে দিনটি পালন করেন। তিনি পুরুষকে ভালোবাসা জানানোর তারিখ ঠিক করেন ৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৪ সালে মাল্টা ও ১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে অনুষ্ঠানিকভাবে এই দিন উদ্‌যাপন শুরু হয়।

ইন্টারন্যাশনাল মেন’স ডে ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে ১৯৯৯ সালে পুরুষ দিবস উদ্‌যাপনের সূচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের শিক্ষক ড. জেরম তেলুকসিং। তবে ২০০৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস প্রতিবছরের ১৯ নভেম্বর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে বর্তমানে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পুরুষ ও ছেলে শিশুদের সাহায্য করুন’।

এ বিভাগের আরো খবর