মেয়েদের প্রতিভার যথাযথ বিকাশের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেছেন ‘মেয়েদের মাথার ওপরে থাকবে মুক্ত আকাশ। তারা সবখানে নিরাপদে, সম্মান নিয়ে, তাদের সমস্ত সৌন্দর্য ও মেধা নিয়ে বিরাজ করবে। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়েই পৃথিবী। কাউকে বাধা দিলে তার বিকাশ ঘটে না।’
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার বাংলা একাডেমির ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক সংস্থা রুম টু রিড আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের জীবনে ইচ্ছাপূরণের গল্পও শোনান দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছোটবেলায় যুক্তি দিয়ে কথা বলার কারণে তাকে অনেকেই ব্যারিস্টার হওয়ার পরামর্শ দিতেন। তবে নিজের ইচ্ছা ছিল রাজনীতি করার।
দীপু মনি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে চিন্তা করলাম কী করব। হয় সাহিত্যিক হব, না হয় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ব বা শিক্ষকতা করব। আমার মা খুব জোরেশোরে বলেছিলেন পেশাজীবী হতে হবে। তখন বাবা তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন চিকিৎসক হতে। এরপর মেডিক্যাল কলেজে রাজনীতি শুরু করি।’
দীপু মনি বলেন, ‘ছেলে আর মেয়েদের চাওয়া ও প্রয়োজন ভিন্ন হয়ে থাকে৷ এই ভিন্নতাকে মাথায় রেখে প্রত্যেকের যা প্রয়োজন তা যেন সে পায়। আমরা যেন সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারি৷ যার যে সুযোগ প্রয়োজন সে সেটাই পাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার সামনে যারা বাধার দেয়াল তৈরি করেছেন তাদের প্রতি মনোভাব কখনও নেতিবাচক হয়নি। মূলত তারা আমাকে সহায়তা করেছেন সেই বাধা অতিক্রম করতে।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছে কন্যাশিশু বলে কিছু নেই। সবাই আমার সন্তান ও সব শিশুই সমান।
‘দেশে এখন মেয়েদের শিক্ষার হার বেশি ও তারা সবকিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখেছি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের অংশগ্রহণ ৫৩ ভাগের মতো। আমার তো মনে হয় এরপর ছেলেরা কোটার দাবি তুলবে।’
রুম টু রিড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার বলেন, ‘আমাদের সমাজে এমনিতেই মেয়েদের প্রতি অবহেলা থাকে, আর করোনার সময়ে সেটা আরও বেড়েছে। আমরা চাই সবাই সমান অধিকার নিয়ে বড় হোক।’