ভারতের রাজধানী দিল্লির এক নারীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩৬ বছর বয়সী নির্যাতনের শিকার নারীকে পাঁচ ব্যক্তি গাজিয়াবাদে অপহরণ করে এবং দুই দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল এক টুইটবার্তায় বলেছেন, নির্যাতনকারীরা তার গোপনাঙ্গে লোহার দণ্ড ঢোকানোয় তার অবস্থা ছিল গুরুতর।
তবে যে হাসপাতালে সেই নারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, সেই গুরু তেগ বাহাদুর (জিটিবি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং অভ্যন্তরীণ আঘাতের কোনো আলামত নেই। যদিও তিনি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তিই নির্যাতনের শিকার নারীর পূর্বপরিচিত।
গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, শাহরুখ নামের এক অভিযুক্তকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার নিপুন আগরওয়াল জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী রোববার গাজিয়াবাদে জন্মদিনের পার্টির পরে দিল্লি ফিরছিলেন এবং তার ভাই তাকে একটি বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি যখন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন একটি গাড়ি ওই নারীর কাছে আসে এবং পাঁচজন পুরুষ তাকে তাতে টেনে নিয়ে যায়। তারা তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
গাজিয়াবাদ পুলিশ মঙ্গলবার আশ্রম রোডের কাছে পড়ে থাকা অবস্থায় সেই নারীকে পায়। পুলিশের কাছে তিনি সব জানান। যদিও সরকারি হাসপাতালে তিনি পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন।
পরে পুলিশ তাকে বেসরকারি জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং অভিযোগ নথিভুক্ত করে।
দিল্লি কমিশন ফর উইমেন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিস্তারিত জানতে চেয়ে গাজিয়াবাদের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে নোটিশ জারি করেছে।
এর আগে ২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নির্ভয়া (প্রতীকী নাম)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হলে, দিল্লির এই ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে পুরো ভারত।