পোশাক কারখানায় কর্মরত মায়েদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সঙ্গে মিলে মাদারস@ওয়ার্ক নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে জাতিসংঘের জরুরি শিশু তহবিল সংস্থাটি।
পোশাক কারখানায় মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান, কর্মবিরতি, শিশুর যত্ন, সবেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি, নগদ অর্থ সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান সুরক্ষা এবং কর্মজীবী মা ও গর্ভবতীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে প্রকল্পটি।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বৃহস্পতিবার মাদার্স@ওয়ার্ক প্রকল্পটি চালু হয়।
ইউনিসেফের একটি পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এই অংশীদারিত্ব উদ্যোগ এক লাখ ৩০ হাজার নারীর কর্মপরিবেশের উন্নতি ঘটাবে। পাশাপাশি ৮ হাজার শিশুর জন্য টেকসই ও উন্নত পুষ্টি পরিষেবা এবং ডে-কেয়ার সুবিধা প্রদান করবে।
এ ছাড়া ৮০টি কারখানায় শুরু হওয়া এই উদ্যোগ ধীরে ধীরে বাড়বে; শেষ পর্যায়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সব কারখানায় এটি চালু হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘মায়েদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এবং শিশুরা যেন শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পায়, তা নিশ্চিতে কর্মক্ষেত্রে নতুন মা এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য নিরাপদ ও অভ্যর্থনাময় কর্মপরিবেশ অপরিহার্য।
‘মাদার্স@ওয়ার্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে পোশাক কারখানায় গর্ভবতী ও সদ্য মায়েদের এবং তাদের শিশুদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাবিত সাতটি মানদণ্ড নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি জীবিকা চালাতে পারেন। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউনিসেফ শিশুদের জন্য আরও ভাল কিছু করতে চায়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়রে সচিব মো. এহছানে এলাহী। বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ছিলেন বিশেষ অতিথি।