বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শুধু ট্রাস নন, দেশ চালাচ্ছেন আরও যেসব নারী

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৩৬

সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ৪৭ বছর বয়সী ট্রাস পার্লামেন্টে আসেন ২০১০ সালে। চার বছর এমপি পদে থাকার পর মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন। দায়িত্ব পালন করেন ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণবিষয়কমন্ত্রী পদেও।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন লিজ ট্রাস। দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী তিনি। এই মুহূর্তে তার মতো এমন গৌরবের অধিকারী আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দেশের আরও কয়েকজন নারী। নিজ নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ৪৭ বছর বয়সী ট্রাস পার্লামেন্টে আসেন ২০১০ সালে। চার বছর এমপি পদে থাকার পর মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন। দায়িত্ব পালন করেন ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণবিষয়কমন্ত্রী পদেও।

পরে টেরিজা মে সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ট্রাস। ২০২১ সালে হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসিন্দা হন ট্রাস। দেশটির ১৬তম প্রধানমন্ত্রী তিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের ক্রান্তিকালীন সময়ে বিদেশে থাকাকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব নেন।

এরপর থেকে টানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ টানা তিন মেয়াদে আছেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। এ ছাড়াও ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইউরোপের ৪৫টি দেশের মধ্যে ১৫টি দেশেই এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন নারী।

যুক্তরাজ্যের এক কালের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রান্সেও ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন একজন নারী। নাম এলিজাবেথ বোর্ন। ৩০ বছর পর সে দেশে এই পদে বসেছেন কোনও নারী। তার আগে দেশের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন ৬১ বছরের এলিজাবেথ।

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন মেট ফ্রেডরিকসন। ২০১৯ সালের জুন থেকে তিনি ওই পদে। মাত্র ৪১ বছর বয়সে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন সোশাল ডেমোক্র্যাট নেত্রী। এর আগে এত কম বয়সে কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রী হননি। মেটের আগে মাত্র এক জন নারীই এই পদে ছিলেন।

ইউরোপের আরেক দেশ এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ৪৫ বছরের কাজা কালাস। ২০২১ সালে এই পদে বসেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে শাসক দল রিফর্ম পার্টির নেত্রী কাজা। ২০১৯ সাল থেকে পার্লামেন্টের সদস্য। ইউক্রেন যুদ্ধে সে দেশের পাশে দাঁড়িয়ে নজর কেড়েছেন কাজা। বহু অস্ত্র পাঠিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্যও করেছেন।

২০১৯ সাল থেকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন সানা মারিন। মাত্র ৩৩ বছরে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সানা। সেই থেকেই শিরোনামে। তবে বহু বার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তার উত্তাল পার্টি করার ছবি দেখে আঙুল তুলেছিলেন রক্ষণশীলরা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০২০ সালে বিয়ে করেন সানা।

২০২০ সালের ১৩ মার্চ থেকে গ্রিসের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ক্যাটরিনা সাকেল্লারোপোলু। ক্যাটরিনাই সে দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। এই পদে বসার আগে গ্রিসের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতের প্রধান পদে ছিলেন ৬৬ বছরের এই ইন্ডিপেনডেন্ট নেত্রী।

২০২২ সালে হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কাটালিন নোভাক। মাত্র ৪৪ বছরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। তার আগে হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট পদে বসেননি কোনও নারী। সেদিক থেকেও ইতিহাস গড়েছেন তিনি।

আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন জেকবসডট্টির। ২০১৭ সাল থেকে ওই পদে রয়েছেন তিনি। মাত্র ৪১ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। এর আগে আইসল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি।

কসোভোর প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ভিজোসা ওসমানি। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ওই পদে বসেছেন ৪০ বছরের ভিজোসা। আলবানিয়ান, ইংরেজি, তুর্কি, সার্বিয়ান, স্প্যানিশ- এতগুলো ভাষা গড়গড়িয়ে বলতে পারেন ভিজোসা।

লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট পদেও রয়েছেন এক নারী। নাম ইনগ্রিডা সিমোনাইট। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ওই পদে রয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রীর পদও সামলেছেন তিনি।

২০২১ সাল থেকে মলডোভার প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন নাতালিয়া গাভ্রিলিটা। এর আগে দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক শিক্ষার্থী। ৪৪ বছরের নাতালিয়া দেশের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী এবং তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

মলডোভার প্রেসিডেন্ট পদেও রয়েছেন একজন নারী। নাম মাইয়া সান্ডু। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হন। তার আগে ২০১৯ সালের জুন থেকে নভেম্বর ছিলেন মলডোভার প্রধানমন্ত্রী।

সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন আনা বার্নাবিক। ২০১৭ সাল থেকে এই পদে ৪৬ বছরের আনা। এর আগে সার্বিয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও নারী বসেননি। সেদিক থেকে ইতিহাস গড়েছেন আনা। পাশাপাশি অন্য একটি ইতিহাসও গড়েছেন। সে দেশে তিনিই প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ সাল থেকে স্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন জুজানা কাপুটোভা। দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তিনি। ৪৫ বছর বয়সে নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন এই আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী।

২০২১ সাল থেকে সুইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছে মাগডালেনা অ্যান্ডারসন। অর্থনীতিবিদ মাগডালেনার বয়স ৫৫।

এ বিভাগের আরো খবর