আত্মরক্ষায় কারাতে কৌশল খুব কাজের। তাই এই কৌশলের পাঠ নিল নীলফামারী ও রংপুর বিভাগের সাত উপজেলার ১৭৫ জন ছাত্রী।
৩২ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে সোমবার নীলফামারীর খোকশাবাড়ী এম ইউ (মনির উদ্দিন) উচ্চ বিদ্যালয়ে এই জেলার প্রশিক্ষণ নেয়া ছাত্রীদের মধ্যে সনদ ও বেল্ট প্রদান করা হয়।
এর আগে নীলফামারী জেলার চার উপজেলার ১০০ জনের মধ্যে নির্বাচিত ১৭ জন প্রশিক্ষণার্থীকে নিয়ে একটি কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে বিজয়ী তিনজনকে ক্রেস্টসহ অংশগ্রহণকারী সবার হাতে একটি করে স্মারক সনদ তুলে দেয়া হয়।
নীলফামারী ও রংপুর জেলার ১৬৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি মাদ্রাসায় পুষ্টি নিয়ে কাজ করা জানো প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৭ আগস্ট রংপুরের চার উপজেলার ৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে বাছাই করা ১২ জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায়ও তিনজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের অর্থায়নে, কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের আওতায় জেলার ১৬৯টি মাধ্যমিক ও ২৮টি মাদ্রাসার ছাত্রীদের নিয়ে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের সহায়ক হিসেবে প্রকল্পটি কাজ করছে।
নীলফামারীর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদ মাহমুদ, জানো প্রকল্পের ম্যানেজার জেসমিন নাহার, কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার নাজনীন রহমান, জানো প্রকল্পের ইউএসডিও ম্যানেজার মো. রেজোয়ানুর রহমান এবং প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
একই প্রকল্পের আওতায় এর আগে গত ২৭ আগস্ট রংপুরের তিন উপজেলার নির্বাচিত ৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২১টি মাদ্রাসার ছাত্রীদের নিয়ে একই ধরনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।