বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৮ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৮৪

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২২ ১২:৪১

পুলিশ জানায়, ক্রজারেসডর্প অঞ্চলে একটি খনির কাছাকাছি বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। শুটিংয়ের জন্যে ৮ তরুণীসহ আরও কয়েকজন গিয়েছিলেন সেখানে। সেট তৈরির জন্য গাড়ি থেকে মালামাল নামানোর সময় তাদের ঘিরে ফেলে সংঘবদ্ধ একটি দলের প্রায় শতাধিক সদস্য। তারা সেখানে ওই আট তরুণীকে পালা করে ধর্ষণ করে।

সাউথ আফ্রিকায় একসঙ্গে আট তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৪ জনকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দেশের মাটিতে ধর্ষকের কোনো স্থান নেই।

পুলিশ জানায়, ক্রজারেসডর্প অঞ্চলে একটি খনির কাছাকাছি বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। শুটিংয়ের জন্যে ৮ তরুণীসহ আরও কয়েকজন গিয়েছিলেন সেখানে। সেট তৈরির জন্য গাড়ি থেকে মালামাল নামানোর সময় তাদের ঘিরে ফেলে সংঘবদ্ধ একটি দলের প্রায় শতাধিক সদস্য। তারা সেখানে ওই আট তরুণীকে পালা করে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় সেখানে বিভিন্ন খনিতে কাজ করা অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের দায়ী করছে পুলিশ। স্থানীয়দের কাছে এই শ্রমিকরা ‘জামা জামা’ নামে পরিচিত। সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির পুলিশপ্রধান ফাননি মোজেমোলা আরও বলেন, ‘অভিযানকালে তাদের সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন দুজন শ্রমিক। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরও একজন। তৃতীয় ওই ব্যক্তি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার গ্রেপ্তার ৮৪ জনকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও চোরাই পণ্য সঙ্গে রাখার অপরাধে তাদের অভিযুক্ত করা হয়।

পুলিশপ্রধান আরও বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেলে আরও গভীরভাবে তদন্তে নামবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এখন পর্যন্ত তাদের কারও বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের মামলা করা হয়নি।’

সোমবার গ্রেপ্তারদের আদালতে আনা হলে, সেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেন নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করে একটি সংগঠনের সদস্যরা।

ধর্ষকদের জামিন না দিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা। এ সময় তাদের হাতে প্লেকার্ডে লেখা ছিল, ‘ধর্ষকের জামিন নয়’, ‘আমি কী পরবর্তী শিকার’, ‘আমার শরীর অপরাধস্থল নয়’।

এই ঘটনায় গোটা দেশে প্রতিবাদ ও ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষককে রাসায়নিক প্রয়োগ করে নপুংসক করা নিয়ে দেশটিতে চলা বিতর্ক আবারও জোরালো হয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভেকি চেলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ঘৃণ্য এই বর্বরতা নারীর অধিকার ও স্বাধীনতার পুরোপুরি পরিপন্থি। ধর্ষকের কোনো স্থান নেই এ দেশে।’

স্থানীয় সময় সোমবার সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভেকি চেলে বলেন, ‌'ভয়ানক ঘৃণ্য নৃশংসতার এই ঘটনাটি জাতির জন্য লজ্জা।'

এ বিভাগের আরো খবর