বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বামী হত্যায় ইরানে ৩ নারীর মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২২ ১৩:৪৭

গত বছরের তুলনায় এই বছরই ইরানে দ্বিগুণ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এই বছরের প্রথম ৫ মাসেই ২৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ইরানি কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে অনেক অভিযুক্তের গণ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে থাকে।

ইরানে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। তবে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ কখনোই আমলে নেয় না ইরানের বিচার বিভাগ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, স্বামীকে হত্যার দায়ে ৩ জন নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

ইরান হিউম্যান রাইটস গ্রুপের মতে, গত সপ্তাহেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া ৩২ জনের মধ্যে সেই ৩ নারীও ছিলেন।

এর মধ্যে ১ জন ছিলেন সাবেক বাল্যবধূ সোহেলা আবাদি। যেই স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, সেই স্বামীর সঙ্গে ১০ বছর আগে বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর।

বাকি যেই দুজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও স্বামী হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এই বছরই ইরানে দ্বিগুণ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এই বছরের প্রথম ৫ মাসেই ২৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর বেশি শিকার হচ্ছেন দেশটির সংখ্যালঘুরাও। ইরানে সংখ্যালঘুরা দেশটির জনসংখ্যার ৫ শতাংশ হলেও মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে প্রতি ৪ জনের ১ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

অনেক ক্ষেত্রেই ইরানি কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে অনেক অভিযুক্তের গণ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে থাকে।

যদিও ইরানের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে খুব একটা প্রকাশ্য ঘোষণা দেয় না। তাই মৃত্যুদণ্ডের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব হয় না।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ইরান অনেক বেশি নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই তাদের স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত।

অথচ পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে ইরানের আদালত খুব একটা আগ্রহ দেখায় না। নারীরা সেখানে ন্যায়বিচার পায় না।

এ বিভাগের আরো খবর