স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে ক্রমেই নারীর বিপরীতে কমছে পুরুষের সংখ্যা। জনশুমারির হিসাবে দেশে এখন ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের অনুপাত ৯৮।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে তথ্যানুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে প্রথম শুমারিতে ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ছিল ১০৮ জন, ১৯৮১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত শুমারিতে ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০৬-এ।
২০১১ সালের শুমারিতেও নারীর চেয়ে বেশি ছিল পুরুষের সংখ্যা। সে সময় ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের অনুপাত ছিল ১০০.৩। তবে সবশেষ গণনায় পুরুষের অনুপাত নেমে এসেছে ১০০ এর নিচে। বর্তমানে দেশে ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষ সংখ্যা ৯৮ জন।
সবশেষ জনশুমারিতে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে নারীর তুলনায় পুরুষের অনুপাত কমলেও ঢাকা বিভাগে আধিপত্য রয়েছে পুরুষের। এই বিভাগে দুই কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা দুই কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮২২ জন।
শুমারি অনুযায়ী, সারা দেশের মধ্যে ঢাকা বিভাগের জনসংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। এই বিভাগে মোট জনসংখ্যা চার কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে। সেখানে ৯১ লাখ ১০২ জনের মধ্যে অনেক এগিয়ে আছেন নারীরা। বরিশাল বিভাগে পুরুষের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০। এ বিভাগে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা দুই লাখের বেশি। সেখানে নারী আছেন ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪২১ জন।
বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন। নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন ১২ হাজার ৬২৯ জন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।