আফগানিস্তানে সংবাদ সংগ্রহের সময় তালেবানের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন একজন অস্ট্রেলীয় নারী সাংবাদিক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের অস্ট্রেলীয় কলামিস্ট লিন ও’ডোনেল অভিযোগ করেছেন যে, তালেবানের কারাগারে পাঠানোর হুমকির মুখে তিনি তার করা কিছু প্রতিবেদন সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তার নিজের লেখা নিবন্ধগুলো মিথ্যা বলে একাধিক টুইট করতেও তাকে বাধ্য করে তালেবান।
যদিও পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয় ও আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া বিমানে উঠতে দেয়া হয়।
তালেবানের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, লিন ও’ডোনেলকে মিথ্যা প্রতিবেদন করার জন্য আটক করা হয়েছিল।
লিন ও’ডোনেল জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তিনি বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এক বছর আগেও তিনি সেখানে ছিলেন। দেশটি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা জানতে তিনি আবার কাবুল যান। তিনি সরাসরি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন।
পরে তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার তিন দিনের ইঁদুর খেলা শুরু হয়। তাকে আটক করা হয়, গালাগাল ও জেলের হুমকি দেয়া হয় এবং তার প্রতিবেদনের উৎস প্রকাশে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তবে ও’নেইল উৎস প্রকাশে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে তালেবান ‘আইন ভঙ্গ করা’ ও ‘আফগান সংস্কৃতিকে আপত্তিকর’ করার অভিযোগ আনে।
তবে তালেবান বলছে, তাকে কোনো উৎস প্রকাশে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি কারণ এলজিবিটি সম্প্রদায় ও তালেবান যোদ্ধাদের আফগান নারীদের জোরপূর্বক বিয়ের বিষয়ে তার করা প্রতিবেদনগুলো বানোয়াট।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে এবং সাংবাদিকদের জন্য দেশটি প্রতিকূল জায়গায় পরিণত হয়েছে।
গত বছর ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবানরা নারীদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখনও বন্ধ রয়েছে। তালেবান বলছে, মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি সাময়িক। খুব শিগগিরই খুলে দেয়া হবে।