নারীদের ঋতুস্রাব শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এটি বন্ধ হয়ে যায়।
ঋতুস্রাব থেমে যাওয়ার এ সময় কিছু লক্ষণের কারণে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ সময়কালকে বলা হয় মেনোপজ। সাধারণত ৫০ বা তার বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে মেনোপজ শুরু হয়।
মেনোপজের উপসর্গগুলো সবচেয়ে তীব্র হয় যদি হটাৎ করেই বা অল্প সময়ের ব্যবধানে মেনোপজ হয়ে যায়। মেনোপজের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো-
# পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যাওয়া।
# অনেক বেশি ব্লিডিং বা অনেক কম ব্লিডিং হওয়া।
# ভ্যাসোমটর সিম্পটমস, যেমন হটাৎ করেই খুব গরম লাগতে থাকা, অনিদ্রা ইত্যাদি দেখা যায়।
# হরমোনের পরিবর্তন
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, মেনোপজের কারণে যুক্তরাজ্যে কর্মজীবী নারীদের ১০ জনের মধ্যে একজন কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
দেশটিতে ৪ হাজারেরও বেশি নারীর ওপর জরিপ করে দেখা যায়, ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা পেরিমেনোপজ বা মেনোপজে সম্মুখীন হন। তাদের মধ্যে ১৪ শতাংশ কাজের সময় কমিয়ে এনেছেন, ১৪ শতাংশ খণ্ডকালীন চাকরিতে চলে গেছেন ৮ শতাংশ পদোন্নতির জন্য আবেদনই করেননি।
ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, যোনিপথে শুষ্কতা, যৌন জীবনে সমস্যাসহ দৈনন্দিন কাজে প্রভাব পড়ার মতো জটিল সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে প্রায়ই মুড সুইং হতে পারে। এই সমস্যাগুলো প্রভাব ফেলে কর্মজীবনেও।
এই গবেষণাটিকে ‘ফসেট সোসাইটি’ সমর্থন করে যা ‘মেনোপজ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্কপ্লেস’ নামে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এই প্রতিবেদনগুলো সরকারকে হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি (এইচআরটি) ওষুধের ঘাটতি কমানোর ব্যাপারে বার্তা দেয়। ওষুধটি মেনোপজের লক্ষণগুলো কমাতে ব্যবহার করা হয়।
এ ওষুধগুলো অনেকক্ষেত্রেই আত্মহত্যা প্রবণ নারীদের এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ এপ্রিলে ঘোষণা করেন, তিনি স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে এইচআরটি সরবরাহ করবেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে এইচআরটি প্রেসক্রিপশনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে যদিও এর মজুতে ঘাটতি রয়েছে।