বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডব্লিউডব্লিউই মঞ্চ কাঁপালেন আরব নারী

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২২ ১২:৪৯

মধ্যপ্রাচ্যে আলিয়াহ সবশেষ গিয়েছিলেন ২০০২ সালে। তিনি জানান, সেখানে তার অনেক আত্মীয় এখনও থাকেন। আরব নারীদের জন্য তিনি সবসময় অনুপ্রেরণা হতে চান। তার লক্ষ্য এবার মধ্যপ্রাচ্যে পারফর্ম করা।

আরব পরিবারে বেড়ে ঊঠে একজন পেশাদার রেসলার হওয়া পুরুষের জন্য মোটেও কঠিন কিছু নয়। কিন্তু নারীর জন্য? হয়ত কল্পনাই করা যায় না, কিংবা অসম্ভব।

অথচ এই অসম্ভব কাজটিকেই সম্ভব করেছেন আরব বংশোদ্ভুত কানাডীয় পেশাদার রেসলার আলিয়াহ।

গত বছরের নভেম্বরে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) ফ্ল্যাগশিপ শো স্ম্যাকডাউনের মূল ইভেন্টে আলিয়া অংশগ্রহণ করেছেন।

টানা ২০ বছর ধরে প্রতিবছরই হতে থাকা স্ম্যাকডাউন শোতে আরব নারীর অংশগ্রহণের মতো ঘটনা এই প্রথমবারের মত ঘটল।

নভেম্বরে স্ম্যাকডাউনের মঞ্চে আলিয়াহ

আলিয়াহর প্রকৃত নাম নহুফ আল আরাবি। জন্মেছেন কানাডার টরেন্টোতে।

কানাডায় বেড়ে উঠলেও সিরীয় ও ইরাকি বংশোদ্ভুত হওয়ায় রেসলার হিসেবে নিজেকে তৈরি করার রাস্তাটা তার জন্য সহজ ছিল না।

তিনি যখন রেসলার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। প্রথমবার যখন পরিবার তার জীবনের লক্ষ্যের বিষয়ে জানতে পারে, তাদের একটাই উত্তর ছিল, আর তা হল ‘না’।

কিন্ত এরপরেও আলিয়াহ দমে যাননি। তিনি পরিবারকে খণ্ডকালীন চাকরির কথা বলে প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান। ১৬ বছর বয়স থেকেই তিনি রেসলার হওয়ার প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

পরে ২০১৫ সালে তিনি ডব্লিউডব্লিউইতে ডাক পান। আর ২০২১-এ এসে তিনি স্ম্যাকডাউনেই অংশগ্রহণ করলেন।

আলিয়াহর মতে, যদি আপনার হৃদয়ে কোনো স্বপ্ন থাকে। আপনার তাকে অনুসরণ করা উচিত। সবকিছুই সম্ভব।

১৬ বছর বয়সে পেশাদার রেসলিংয়ের প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করেন আলিয়াহ

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এটা পরাবাস্তব মনে হয়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই এটি আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।

‘ছোট থাকতে আমি রেসলিং দেখতাম, কিন্তু সত্যিই আমার মতো দেখতে বা আরব কাউকে দেখিনি। আমি আশা করি আরব নারীদের জন্য আমি ভাল উদাহরণ স্থাপন করতে পারব এবং ইচ্ছামত খেলায় যোগ দিতে তাদের অনুপ্রানিত করতে পারবো।’

মধ্যপ্রাচ্যে আলিয়াহ সবশেষ গিয়েছিলেন ২০০২ সালে। তিনি জানান, সেখানে তার অনেক আত্মীয় এখনও থাকেন। আরব নারীদের জন্য তিনি সবসময় অনুপ্রেরণা হতে চান।

তাই আলিয়াহর লক্ষ্য এবার মধ্যপ্রাচ্যে পারফর্ম করা। ডব্লিউডব্লিউই কর্তৃপক্ষও বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রচুর দর্শক থাকায় এমন উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানটির জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর